ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ইউক্রেনের একটি শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ জন নিহত        বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী        প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী        বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের     
২৩০৪

কয়েছ আহমদ বকুল এর কলাম-

সম্প্রচার নীতিমালঃ আদৌ কি প্রয়োজন ছিলো!

যুক্তরাজ্য থেকে কবি, লেখকঃ কয়েছ আহমদ বকুল

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

সম্প্রচার নীতিমালা, সরকার একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। অন্য ভাবে বললে বলতে হয় সরকারের কোন সিদ্ধান্ত কি বিতর্ক মুক্ত হয়? অন্তত আমাদের এখানে হয়না।
সাধু অসাধু যে সিদ্ধান্ত বা নীতিমালা সরকার গ্রহণ করতে যায় সমান ভাবে পক্ষে বিপক্ষে তা নিয়ে আলোচনা হয়, হতেই হয়। এটা শুধু এ সরকারের ক্ষেত্রে নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের সব সরকারকেই এই যন্ত্রণা পোহায়ে আসতে হয়েছে। আমাদের সুশীল সমাজ বা সমাজের চিন্তাশীল মহান ব্যক্তিরা মূলতঃ নিজেকে এভাবেই সরকারের কাছে তুচ্ছ বা মূল্যহীন করে তুলেছেন।

সম্প্রচার নীতিমালার আদর্শ বা উদ্দেশ্য এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। কিন্তু বিষয়টা আমাদের মধ্যে কিছুটা হাস্যরসপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার বাকশাল সৃষ্টির প্রাক্কালে কৌশলগত কারণে চারটি বিশেষ জাতীয় দৈনিক ছাড়া সব পত্রিকা সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছিলো। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে বাকশাল সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে কোন ধারনা না নিয়েই তৎকালিন জাসদ এর বিরোধীতা করেছিলো এবং জাসদের তরুণ নেতা আজকের আওয়ামীলীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সবচেয়ে অশ্রাব্য আর অশালীন বক্তব্য প্রদান করেছিলেন সেদিন। আজ সেই ইনুর তথ্যমন্ত্রীত্ব কালে গণমাধ্যমের উপর কঠোর নজরদারী আরোপ করে আওয়ামীলীগ সরকার কি ইনুর উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে নাকি সুচতুর ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন  ইনু আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত ও বিপদগ্রস্থ করার জন্যই সরকার কে এই অহেতুক পাগলামুতে জড়াতে বাধ্য করেছে। ইনুরা হচ্ছেন এই সরকারের সাময়িক সুবিধাভোগী মন্ত্রী, এ ধরনের দুধের মাছিকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের  নীতি নির্ধারনী ক্ষমতা দেয়া কতটুকু হীতকর হবে সরকার তথা আওয়ামীলীগকে তা ভালো করে ভাবা উচিৎ।

সরকার কেন শুধু শুধু গণ মাধ্যমকে নিজের প্রতিপক্ষ করে তুলার চেষ্টা করছে বোধগম্য নয়। বিগত যে কোন সরকারের চেয়ে এই সরকার গণমাধ্যমের সবচেয়ে বেশি সমর্থন ও সহযোগীতা পেয়েছে। গত ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাঁর গণভবনে এক সাংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, ঐ সংবাদ সম্মেলনকে কোন ভাবেই আমার কাছে সংবাদ সম্মেলন মনে হয়নি, মনে হয়েছে সাংবাদিক লীগের সাথে আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর বৈঠক। অথচ দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা ঐ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। কেন তবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে একটি পক্ষ বানাতে চাচ্ছে সরকার? টকশো যদি মুল আঘাতের কেন্দ্র হয়, ভুল তথ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের কে নিয়ন্ত্রণ যদি উদ্দেশ্য হয় তা তো ইলেট্রিক মিডিয়ার মালিকদের প্রতি একটি প্রজ্ঞাপণ জারির মাধ্যমেই সম্ভব ছিলো, ঢাক ডুল পিটিয়ে নীতিমালা প্রনয়ণ করতে হবে কেন?

সরকারের মধ্যকার আওয়ামীলীগের নবীন ও প্রবীন মন্ত্রীরা সমান তালে বাচালতায় মেতে, সরকারে অণুপ্রবেশকারী অন্যান্য মন্ত্রীরা কে কি নিয়ে মেতে সেটা নজরদারীর আওতায় নিয়ে আসা আওয়ামীলীগের জন্য শুধু জরুরী নয় আশু কর্তব্য।

কয়েছ আহমদ বকুল
কবি, লেখক
যুক্তরাজ্য

আরও পড়ুন
পাঠক কলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত