ঢাকা, ০৪ মে, ২০২৪ || ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
আগামীকাল থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে      পরিবেশ সাংবাদিকতা সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে : আরাফাত     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের        সুন্দরবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড        বাংলাদেশের সাথে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর        অর্থমন্ত্রী আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন        মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী     
১৭২৩

কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার এর-

কিছু কথা না বললেই নয়...(০৭)

ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ আব্দুস সাত্তার

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০১৪   আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৪

আমি আজ যার কথা লিখতে যাচ্ছি তিনি নর্থ আমেরিকার অতিপরিচিত মুখ। তিনি হলেন জনাব ডঃ গোলাম আক্তার। যিনি ১৯৬৪ সালে বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উপর ব্যাচেলার ডিগ্রি নিয়ে আমেরিকা চলে আসেন পিএইচডি করার জন্য। ১৯৮৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পিএইচডি করেন।জনাব গোলাম আক্তার হিউম্যান রাইটস মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসির পরিচালক। তাই হয়তো তিনি সব সময় একটি ব্যাগ নিয়ে ঘুরা ফেরা করেন। তাঁর সেই ব্যাগে আছে সারা দুনিয়ার হিউম্যান রাইটস এর কাগজ পত্র। তিনি যেখানেই যান দু- একটি কথা হিউম্যান রাইটস উপর বলবেনই! অনেক সময় কথা বলার সুযোগ না থাকলেও তিনি হাত উঠিয়ে বসে থাকেন। অনেক সময় দুঃখ করে বলেন সাত্তার দেখছেন আমাকে কথা বলতে দিল না। এইটা কি রাইট। সবাইকে জানতে হবে হিউম্যান রাইটস কি? 

আমাকে আজ না বলা কথা লিখতেই হবে  জনাব আক্তার সাহেব সবসময় সত্যি কথাটি বলেন তাই তাকে অনেক সময় পাগল, মাথা খারাপ সহ অনেক কথা শুনতে হয়। এমনি তাঁর নাতির সমতুল্য লোকজন তাকে সবসময় অপমান করে বিনা কারনে। আমি অনেক সময় দুঃখ প্রকাশ করি কিন্তু কি করব যারা হেন কাজগুল করে তাঁদের তো কোন জাত নেই! 

জনাব আক্তার সাহেব কে মামলাবাজ বলে সবাই। উনাকে দেখলে টিটকারি মারে। কেন? কারন তিনি নর্থ আমেরিকার যে কেউ প্রোগ্রাম করুক না কেন তিনি তার সুক্ষ হিসাব চান! এইটাই তাঁর অপরাধ! এই প্রবাসে এসেও কিছু লোক তাঁদের চরিত্র পাল্টাতে পারেনি। তাই আক্তার সাহেবের একটু বেশী ঝামেলা করতে হয়। তিনি ইমেল, ফোন করেন হিসাব জনগণকে বুঝিয়ে দেবার জন্য। আর না দিলেই তিনি কেইচ করে দেন। এইটা কি উনার অন্যায়?   

বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি তিনি প্রভাবশালী লোকদেরকে পর্যন্ত কাঠ ঘরে নিয়ে ছেড়েছেন এবং এখনো অনেক কেইচ বিচারাধীন আছে। তিনি আমাকে আজও বললেন দেখেন চার পাঁচটা কেইচ তৈরি করে রেখেছি। কি করব বলেন আজ কতদিন যাবত হিসাব চাচ্ছি তাঁরা দিব দিব করে দুই বছর হয়ে গেল এখনো হিসাব পাচ্ছি না। এইটা তো ঠিক না। 

জনাব আক্তার সাহেব মূলধারা ও কমিউনিটির সাথে সবসময় ছিলেন এবং এখনও আছেন। তাঁর এই অবদানের জন্য মূলধারা ও কমিউনিটি থেকে অনেক এওয়ার্ড পেয়েছেন।

জনাব আক্তার সাহেব এখন দেশেই বেশী থাকেন। তাই ঠিক মতন পাওয়া যায় না। তবে দেশে থাকলেও তাঁর ইমেলে যোগাযোগ সবার সাথে আছে। আজ উনাকে পেয়ে গেলাম নিউইয়র্ক পালকি সেন্টারে ফোবানা ২০১৪ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেস কনফারেন্স এ। তিনি দেখেই বললেন এই সাত্তার আমার বই কোথায়। বইটি হাতে দেওয়ার সাথে সাথেই বললেন সই করে দেন! তারপর বললেন আমি আশা করবো "ওদের" নিয়ে কয়েকটা বই লিখে ফেলেন। ওরা সারা বাঙ্গালী জাতির কলঙ্ক। আমার বিশ্বাস আপনি সাংবাদিকতা যেভাবে সততার সাথে করছেন ঠিক সেই ভাবেই কয়েকটা বই লিখে ফেলতে পারবেন। আপনি তো সব জানেন এমনকি আপনার চোখের সামনে ঘটতেছে! আমার দোয়া থাকল আপনার জন্য। আমি অনেক কাজ কেইচ মোকাদ্দমা করে শেষ করতে পারিনি! আপনি লিখে তা শেষ করবেন।

অনেক অনেক ভালোবাসা থাকল আপনার জন্য জনাব আক্তার ভাই। আমি চেষ্টা করব আপনার কষ্টের কথাগুলো সাদা কাগজে তুলে আনতে। কতটুকু পারব বিধাতাই জানেন। আমি সত্যি আনন্দিত আপনার মতো একজনকে আমার সাদা কাগজে লিখা বই দিতে পেরে। আপনি যে একজন ভালোমানুষ তা আপনার সাথে কথা না বললে কেউ জানতে পারবে না। আপনার সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করছি। আমীন।

 

আরও পড়ুন
পাঠক কলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত