ঢাকা, ১৩ জুলাই, ২০২৫ || ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
Breaking:
যে যুক্তিতে প্রতীক তালিকায় ‘নৌকা’ রাখছে ইসি      মায়ানমারে ভারতের ড্রোন হামলায় ৩ নেতা নিহতের দাবি উলফার     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ কয়েকটি স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা        কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে না গণ অধিকার পরিষদ: নুরুল হক        বিএনপিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না : মির্জা ফখরুল     
২১

মায়ানমারে ভারতের ড্রোন হামলায় ৩ নেতা নিহতের দাবি উলফার

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫  

মায়ানমারে ভারতের ড্রোন হামলায় ৩ নেতা নিহতের দাবি উলফার

মায়ানমারে ভারতের ড্রোন হামলায় ৩ নেতা নিহতের দাবি উলফার


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রবিবার জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী মায়ানমারে তাদের ঘাঁটিতে আন্ত সীমান্ত ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে গোষ্ঠীটির তিনজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নিহত হয়েছেন। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মায়ানমারের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর জাতিগত, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে ঘাঁটি স্থাপন করে থাকে।
ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম-ইন্ডিপেনডেন্ট (উলফা-আই) একাধিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মায়ানমারে ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ড্রোন হামলায় গোষ্ঠীটির একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নিহত হয়েছেন এবং আরো ১৯ জন আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে আরো দুটি হামলায় তাদের আরো দুজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নিহত হন। অনেক সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

উলফা-আই আরো জানিয়েছে, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরেকটি গোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ক্যাম্পগুলোকেও টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।
তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী উলফা-আইয়ের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গুয়াহাটির প্রতিরক্ষা জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযানের বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই।’

উলফা হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি, যারা আসাম রাজ্যের স্বাধীনতা দাবি করে। অন্যদিকে পিএলএ মণিপুর রাজ্যকে ভারতের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে।
উলফা-আই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন পরেশ বড়ুয়া। বর্তমানে গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ে শুধু অরুণোদয় দোহোতিয়া নামের এক সদস্যই মায়ানমারে সক্রিয় বলে জানা গেছে। মায়ানমারে উলফা-আই ক্যাম্প থেকে পরিচালিত অপর এক শীর্ষ নেতা রূপম অসমকে মে মাসে আসাম পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।

উলফার একটি অংশ ২০২৩ সালে অস্ত্র সমর্পণ করে এবং ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে সই করে। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে বিদ্রোহী হামলার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
তবে বিগত তিন দশকে এই ধরনের সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যার বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।







মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত