ঢাকা, ১২ জুলাই, ২০২৫ || ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
Breaking:
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না: মামুনুল হক      শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান খালেদার     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা        শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক        ভিন্ন একটি চক্র ভোট নিয়ে টালবাহানা করছে : রিজভী        সংবিধানের ‘চতুর্থ তফসিলে’ জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বিএনপি     
৪৯

একটি রাজনৈতিক দলের কর্মিসভায় পুলিশ কর্মকর্তা বক্তব্য:রিজভী

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৫  

একটি রাজনৈতিক দলের কর্মিসভায় পুলিশ কর্মকর্তা বক্তব্য দিয়েছেন, এটি চাকরিবিধি পরিপন্থী : রিজভী

একটি রাজনৈতিক দলের কর্মিসভায় পুলিশ কর্মকর্তা বক্তব্য দিয়েছেন, এটি চাকরিবিধি পরিপন্থী : রিজভী


সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর একটি দলীয় সভায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ইউনিফর্ম পরে বক্তব্য দেন। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মিসভায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ইউনিফর্ম পরে বক্তব্য দিচ্ছেন, এটি আওয়ামী লীগ আমলে দেখা যেত। এটি সম্পূর্ণরূপে চাকরিবিধি পরিপন্থী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে যেকোনো ছাত্রসংগঠন বা রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করতে পারেন। তবে তার কর্তব্য বাস্তবায়নের সময় তিনি কখনো বিশ্বাসের প্রতিফলন করতে পারবেন না। এগুলো আওয়ামী লীগের আমলে হতো।
আমরা দেখতাম, অনেকে মুজিব কোট পরে বক্তৃতা করছে। এখন তো আইনের শাসন, আইনের শাসন মানে যারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।’

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাত্রার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে।
প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’-এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে ‘মব কালচার’-এর নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে।”

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার, অপতৎপরতা, কৃত্রিমভাবে তৈরি সামাজিক অশান্তি গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন পেছানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জনগণ মনে করে। শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরনের বয়ান দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সমাজবিরোধী কোনো ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাশত করে না। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরনের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেনি।’

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’








মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত