আজ ছাত্র-জনতা ও পুলিশ গণহত্যা দিবস:সজীব ওয়াজেদ জয়
মুক্তআলো২৪.কম

আজ ছাত্র-জনতা ও পুলিশ গণহত্যা দিবস:সজীব ওয়াজেদ জয়
সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে লেখেন,আজ ছাত্র-জনতা ও পুলিশ গণহত্যা দিবস। গত ২০২৪ সালের এই দিনে বিদেশি মদদপুষ্ট জঙ্গিরা নির্বাচিত সরকারকে সহিংসভাবে উৎখাত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নাম দিয়ে দেশকে ৭১-পূর্ব অন্ধকারে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কোটা বাতিল করে দেওয়ার পরেও আন্দোলন না থামিয়ে অরাজনৈতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেয়। সরকার উৎখাত করতে আন্দোলনকারীরা নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে, জনগণের টাকায় নির্মিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, জেল ভেঙ্গে সাজাভোগরত আসামী ও চিহ্নিত জঙ্গীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়, থানায় আক্রমণ করে পুলিশ হত্যা করে আইন শৃংখলা বাহিনীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নমনীয় অবস্থানকে সহিংস রূপ জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে এসব হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালিত হয়। এই দাবি আমার নয়, বরং তথাকথিত সমন্বয়কেরা গত এক বছরে ফেসবুক স্ট্যাটাস, ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে এসব দাবি করেছেন। সাধারণ মানুষ যারা এই আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন তারা পরিবর্তনের আশায় ছিলেন।
কিন্তু গত এক বছরে তারা কী পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন? হ্যাঁ, তারা পরিবর্তন দেখেছেন, কিন্তু সেটা তাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন নয়। তারা দেখেছেন কীভাবে একজন স্বঘোষিত নীতিবান লোক মুহম্মদ ইউনুস ক্ষমতা নিয়েই নিজের ও নিজের প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স মওকুফ করেছে, নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স বানিয়েছে। ইউনুস আবার অকপটে স্বীকারও করেছে যে দেশ চালানোর কোন অভিজ্ঞতা তার নেই। অথচ সেই ব্যক্তি সংস্কার সংস্কার বলে দিনরাত মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন। মানুষ দেখেছে কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়ে ছাত্র সমন্বয়কেরা একেকজন এক বছরের মাথায় কোটিপতি বনে গিয়েছে। কীভাবে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার শপথ গ্রহনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীতে রুপান্তরিত করেছে। মানুষে দেখেছে কীভাবে সমাবেশের নাম করে গোপালগঞ্জে গিয়ে তারা নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে এবং লাশ গুম করেছে। শুধু গোপালগঞ্জেই নয়, সারাদেশে জুড়ে চলছে অপমৃত্যুর মিছিল। জীবিকার কাজে বাইরে গিয়ে সুস্থভাবে পরিবারের কাছে ফেরার নিশচয়তা এখন মানুষ পায় না। চারিদিকে মবের আতংক, চাঁদা না দিলে ফ্যাসিবাদের দোসর বলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, স্বামীকে না পেয়ে স্ত্রীকে পেটাচ্ছে, সন্তানকে পেটাচ্ছে। প্রথম ৭ মাসেই ১১৯ জন মানুষকে এই বৈষম্যবিরোধী মবের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এই পরিবর্তন কি মানুষ চেয়েছিলো? গত এক বছরে কোন একটি সুখবর কি ইউনুস সরকার মানুষকে দিতে পেরেছে, যেটা শুনে মানুষ বলেছে এখন ভালো আছি?
আওয়ামী লীগ সরকার নিম্ন আয়ের মানুষ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করেছিল। দুর্নীতির অভিযোগে সেই কর্মসূচি আজ বন্ধ, দুর্নীতির কোন প্রমানও এখনো ইউনুস সরকার হাজির করতে পারেনি। কেমন আছে আজ সেই মানুষগুলো, সেই পরিবারগুলো? তারা কী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী? তাদের ওপর কীসের আক্রোশ ইউনুস সরকারের?
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে জুন ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২,৪৪২টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে ৫ই আগস্ট এ কদিনেই ১৪৫২ টি হামলা হয়েছে। এই বর্বরতা ১৯৭১ সালকেও হার মানায়। মব হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোন মামলাই এখনো নেওয়া হয়নি, বিচার তো দূরে থাক। বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির নতুন বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা Non-Existent।
দেশের অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। ইউনুসের বাহিনী বলছে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ আসছে আর এদিকে বর্তমান বিনিয়োগকারীরা তাদের লগ্নিকৃত অর্থ সরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। শেয়ারবাজার থেকে লোপাট হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। নোবেলজয়ী ইউনুসের সমর্থকেরা বলেছিল বিদেশি কোম্পানিরা দলে দলে ছুটে আসবে এদেশে বিনিয়োগ করতে, অথচ এখন দেখা যাচ্ছেন সবাই ছুটে পালাচ্ছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিবর্তন কি মানুষ চেয়েছিল?
গত এক বছরে ১৫০-এর বেশি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েছে, বেকার হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ। অথচ ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল চাকরিতে বৈষম্য দূর করার আশায়। তার খেসারত দিচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন পোশাক শিল্প।
গত এক বছরে বাংলাদেশ হারিয়েছে তার আত্মমর্যাদা। শুল্ক কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোপন চুক্তি করে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ফন্দি করেছে মার্কিনিদের গোলাম ড. ইউনুস। এয়ারবাস কেনার চুক্তি থাকার পরেও বিমান কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কেনা হচ্ছে ২৫টি বোয়িং বিমান। সমন্বয়কেরা বলে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্ত করেনি। বোয়িং বিমান কিনে কার প্রতিরক্ষা করছে তারা? অবৈধ প্রধান উপদেষ্টার? এই পরিবর্তন চেয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ?
তারা বলে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছে। অথচ দেশের প্রতিটা কোর্টে প্রতি কর্মদিবসে চলছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজানো বিচার। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৪ লক্ষেরও অধিক নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দি আছেন। গত সংসদের অর্ধেকের বেশি সদস্য জেলে আছেন। এখনো চলছে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা ও মব হামলা। তারপরও আমাদের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা অবৈধ সরকারের দুঃশাসনের প্রতিবাদ করছেন, শোষকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে আসছেন এবং সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নামের কালো আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অনলাইনেও সোচ্চার আছেন।
এরাই আওয়ামী লীগের শক্তি। এই শক্তিই নিয়ে আসবে নতুন ভোর, পুনর্জাগরণ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।
মুক্তআলো২৪.কম
- পাবনা ১
জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি - আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা বুধবার
- বিচার চাইলেন মেয়ে খালেদ মোশাররফ হত্যার
- বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী জনতার সাথে নৌকা কখনো বেঈমানী করে নাই:
- শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত : হাছান মাহমুদ
- দেশের উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত খালেদা জিয়া : রেলমন্ত্রী
- জোটে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার বিএনপি-জামায়াত টানাপড়েন
- পাল্টা কমিটি ঘোষণা শ্রমিক দলের বিদ্রোহীদের
- প্রচার হয়নি সরকারের উন্নয়নের খবর: গওহর রিজভী
- বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে আগামী নির্বাচনের আগেই: এরশাদ
- ফের জামায়াতের হরতাল রোববার সকাল থেকে !
- সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বিচার বিভাগ
- কোন অন্যায় করেননি বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বললেও :মান্না
- কোনো ভূমিকা নেই মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের
- শ্রমিক ছাঁটাই থেকে বিরত থাকুন: ওবায়দুল কাদের