ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ || ১৩ পৌষ ১৪৩২
Breaking:
রবিবার বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণ      ১ জানুয়ারি বন্ধ হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল সিম      বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ১ জানুয়ারি বন্ধ হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল সিম        প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলা সরকারের কোনো না কোনো অংশ ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর        ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন তারেক রহমান     
৬৭

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলা সরকারের কোনো না কোনো অংশ ঘটতে

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫  

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলা সরকারের কোনো না কোনো অংশ ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানটে হামলা সরকারের কোনো না কোনো অংশ ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর


সরকারের কোনো না কোনো অংশ প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় ও ছায়ানট ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটতে দিয়েছে বলে মনে করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

আজ শনিবার রাজধানীয় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

১৮ ডিসেম্বর রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনেও অতিথির বক্তব্যে ঘুরে ফিরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
 

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর বলেন ‘পরিষ্কারভাবে আমরা জানি  প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার, ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য একদিন আগে, দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কারা ঘোষণা দিয়েছে, এ দেশের সমস্ত মানুষ জানে, সরকারও জানে। বাংলাদেশের যেকোনো আইনে...ফৌজদারি অপরাধ। সরকার তো তাদের গ্রেপ্তার করে নাই আগেই প্রিভেন্ট করার করার জন্য। তারা তো আগেই ঘোষণা দিয়েছে—এগুলোকে ধ্বংস করা হবে। এ কারণেই আমরা বলেছি সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটা ঘটতে দিয়েছে।...তাহলে সংগঠিত একটি শক্তি ওইখানে গিয়ে এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পরিষ্কারভাবে রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে পাওয়া গেছে।’

সাংবাদিক শাহনাজ শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কলসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসির উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজিসির ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের এ দেশীয় প্রতিনিধি মো. আল মামুন, সাংবাদিক তালাত মামুন, ইলিয়াস হোসেন, মিল্টন আনোয়ার।

 
 
আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত