তারেক রহমানের বক্তব্যে অশ্রুসিক্ত বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
মুক্তআলো২৪.কম
তারেক রহমানের বক্তব্যে অশ্রুসিক্ত বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আবেগঘন বক্তব্যে অশ্রুসিক্ত হলেন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি যখন নিজের মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ত্যাগের কথা বলেন, উপস্থিত নেতাদের মধ্যে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। এসময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
১০টি সাংগঠনিক বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় তারেক রহমান দলের ঐক্য, ত্যাগ ও মূল্যায়ন বিষয়ে হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য রাখেন।
তারেক রহমান বলেন, আমার মা-ও মৃত্যুর মুখোমুখি ছিল। ইচ্ছে করলে মাকে নিয়ে আসতে পারতাম। কিন্তু মা তো আপনাদের ছেড়ে আসেননি। ছয়বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও মা আপনাদের ত্যাগ করেননি।
কারণ, তার লক্ষ্য ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা। ইচ্ছে করলে মা আপস করতে পারতেন, তবুও করেননি। কারণ, মা জানতেন—এই আপস জনগণকে দূরে সরিয়ে দেবে।
একপর্যায়ে তারেক রহমান এক আদালতের ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, দুই মায়ের মধ্যে এক সন্তানের দাবিতে বিচারক বলেছিলেন, সন্তানকে দুই ভাগ করে দেবেন। তখন আসল মা বলেছিলেন, সন্তানকে ভাগ করবেন না, অন্যজনকেই দিন—আমি দূর থেকে দেখব।
আসল মা তিনিই, যিনি সন্তানের ক্ষতি হতে দেননি।
আমি চাই আপনারা সেই আসল মায়ের মতো হোন। ঐক্যের স্বার্থে ত্যাগ শিখুন। একজন প্রার্থীকে সবাই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করুন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন, তাহলেই বিএনপি এগিয়ে যাবে। বক্তৃতার একপর্যায়ে তারেক রহমান নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সভা শেষে একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তারেক রহমানের কথায় ছিল না রাজনীতি, ছিল এক মা ও ছেলের আত্মত্যাগের গল্প। সেই গল্পের ভেতরেই দলীয় ঐক্যের বার্তা।
রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে সভা চলে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দেন।
মনোনয়ন পরবর্তী মিষ্টি বিতরণে নিষেধাজ্ঞা
বিএনপির সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে পৃথকভাবে মতবিনিময় করেন তারেক রহমান। প্রত্যেক বিভাগের নেতাদের তিনি নির্বাচনী পরিস্থিতি, ঐক্য রক্ষা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
সিলেট ও খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জানান, তারেক রহমান বলেছেন, মনোনয়ন পাওয়া মানেই বিজয় নয়। দলের ঐক্য রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় বিজয়। তিনি আরো নির্দেশ দেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর কেউ যেন মিছিল-মিষ্টি বিতরণ না করে। এতে দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা ব্যাহত হবে।
এর আগে, গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
মুক্তআলো২৪.কম
- পাবনা ১
জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি - আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা বুধবার
- বিচার চাইলেন মেয়ে খালেদ মোশাররফ হত্যার
- বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী জনতার সাথে নৌকা কখনো বেঈমানী করে নাই:
- শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত : হাছান মাহমুদ
- দেশের উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত খালেদা জিয়া : রেলমন্ত্রী
- জোটে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার বিএনপি-জামায়াত টানাপড়েন
- পাল্টা কমিটি ঘোষণা শ্রমিক দলের বিদ্রোহীদের
- প্রচার হয়নি সরকারের উন্নয়নের খবর: গওহর রিজভী
- ফের জামায়াতের হরতাল রোববার সকাল থেকে !
- বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে আগামী নির্বাচনের আগেই: এরশাদ
- সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বিচার বিভাগ
- কোন অন্যায় করেননি বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বললেও :মান্না
- শ্রমিক ছাঁটাই থেকে বিরত থাকুন: ওবায়দুল কাদের
- কোনো ভূমিকা নেই মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের
















































