ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২৪ || ৭ কার্তিক ১৪৩১
Breaking:
সহায়ক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩০০ শিক্ষার্থী      মানি লন্ডারিং মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. ইউনূস      বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, আজারবাইজানকে আহ্বান রাষ্ট্রপতির      দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটালাইজেশনের ওপর জোরারোপ প্রধান উপদেষ্টার     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  সহায়ক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩০০ শিক্ষার্থী        বকেয়া মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি        রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে : আসিফ নজরুল        প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় রোধ করুন : নাহিদ ইসলাম     
৪৯০৭

আজ পয়লা ফাল্গুন

মাসুদ পারভেজ বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

 

ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক।আজ পয়লা ফাল্গুন ঋতুরাজ বসন্তের আগমন।প্রকৃতির দক্ষিণা দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া।কোকিলের কণ্ঠে আজ বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। সব কিছুই জানান দিচ্ছে আজ পয়লা ফাল্গুন। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এতো বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সাথে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। তাই কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ পয়লা ফাল্গুন’।


শিশু-কিশোর, আবালবৃদ্ধবনিতা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।

দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি। গাছের জড়া পাতা শেষে এখন আবার নতুন পাতা পল্লবে সেজেছে গাছগুলো।

শীতের শেষে ঋতুচক্রের এই মাস বাঙালির জীবনে প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পহেলা ফাল্গুন ঋতুরাজ বসন্ত উদ্যাপিত হবে। চাঁদপুরে সরকারি মহিলা কলেজসহ আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঋতুরাজ বসন্ত উদ্যাপন করা হয়। এ দিন সকাল থেকেই মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বসন্তের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে তুলতে বাহারী রঙের শাড়ি ও ফুলের মালায় নিজেদের সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু ক্লাস নেয়ার পর থেকে কলেজে বসন্তের আনন্দে মেতে ওঠেন।

গাছে গাছে ফুল ফুটবার এ দিনটিকে চিরাচরিতভাবে পহেলা ফাল্গুন হিসেবে বাংলা মাসের গণনা শুরু হয়। ঝরে পরা শুকনা পাতার মর্মর ধ্বনির দিন শেষ হয়ে আসে। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। একই সাথে বাসন্তি রংয়ের শাড়ি ও পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠার আবাহন বাংলার তরুণ-তরুণীরা। চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নর-নারীর বাসন্তী সাজ মনে করিয়ে দিবে- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত। বাসন্তী শাড়ি পরে খোঁপায় গাদা ফুল গুঁজে নারীরা হাজির হবে বসন্ত বরণ উৎসব উদ্যাপন করতে।


মুক্তআলো২৪.কম/১৩ফেব্রুয়ারি২০১৯

 

আরও পড়ুন
ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত