ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ || ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
Breaking:
গোপালগঞ্জে কারফিউ রাত ৮টা থেকে আরও ১০ ঘণ্টা বলবৎ থাকবে      সমাবেশে বিএন‌পিকে আমন্ত্রণ জানায়‌নি জামায়াত      বক্তব্যের সময় মঞ্চে ঢলে পড়লেন জামায়াত আমির     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশে মানবাধিকার মিশন স্থাপনে সরকার ও জাতিসংঘের সমঝোতা        মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত না করে নির্বাচনের দিকে হাঁটবেন না : নুর        যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে : মির্জা ফখরুল     
৯১

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিধান, তীব্র নিন্দা টিআইবির

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৫  

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিধান, তীব্র নিন্দা টিআইবির

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিধান, তীব্র নিন্দা টিআইবির


প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবি বলেছে, সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে, যা অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী।

সোমবার (২ জুন) ঘোষিত ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এ কথাগুলো বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে রাষ্ট্রসংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে তারা। তিনি মনে করেন, সরকার দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করহার যা–ই হোক না কেন, এটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে অনুপার্জিত আয় অবৈধ হবে। তিনি বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ একই সঙ্গে বৈষম্যমূলক। কারণ, এই সিদ্ধান্তের ফলে আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের অধিকতর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে, এমন আশঙ্কার কথা জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সরকার বছরজুড়ে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থ–সম্পদ অর্জনের জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করছে এবং বছর শেষে কালোটাকাকে বৈধতা দেওয়ার অঙ্গীকার করছে। আবাসন খাতকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে কালোটাকা সাদা করার দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ বাতিল করার জোর দাবি জানিয়েছে টিআইবি। পাশাপাশি কালোটাকার উৎস অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা, করব্যবস্থায় সমতা ও ন্যায় নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাজেটে তাদের প্রত্যাশা ছিল, দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের অগ্রগতির বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অর্থ উপদেষ্টা এ ব্যাপারে একটিমাত্র বাক্য ব্যবহার করেই দায় সেরেছেন। একই সঙ্গে দেশ থেকে অর্থ–সম্পদ পাচার করেছেন এবং পরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, এমন ব্যক্তিদের অর্থ–সম্পদের ওপর কর ও জরিমানা আরোপের বিধান করা হলেও কী প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়ন করা হবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

রাজস্ব আদায় বাড়াতে এর ব্যবস্থাপনা থেকে নীতিকে আলাদা করার সঙ্গে এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কৌশলগুলো বাজেট বক্তৃতায় উঠে না আসা হতাশার বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন ইফতেখারুজ্জামান।









মুক্তআলো২৪.কম

 
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত