ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
হাছান মাহমুদের সাথে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক : ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন : প্রধানমন্ত্রী        আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস        অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী        বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির     
১৯৩৬

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অবশেষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল ব্রিজ নির্মাণের জন্য

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২ জুন ২০১৪   আপডেট: ৩ জুন ২০১৪

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অবশেষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল ব্রিজ নির্মাণের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেডকে কার্যাদেশ দিয়েছে ।আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ফাইলে স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরই কার্যাদেশ দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, আজই (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন। অনুমোদনের পরই কার্যাদেশ দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ মে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। চূড়ান্ত মূল্যায়ন শেষে ২০১১ সালের মাঝামাঝি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। সে সময় মূল সেতুর ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৯ হাজার ১২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তবে বিশ্বব্যাংকের আপত্তিতে ২০১১ সালের আগস্টে প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। নানা জটিলতায় প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ২৬ জুন চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। আর গত ২৪ এপ্রিল মূল সেতুর আর্থিক প্রস্তাব জমা পড়েপদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে মোট ব্যয়ের ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ (তিন হাজার ১০৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা) দেশীয় অর্থে ও অবশিষ্ট ৭৪ দশমিক ৪০ শতাংশ (৯ হাজার ২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা) বৈদেশিক মুদ্রায় (ডলারে) পরিশোধ করতে হবে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের অপর তিন অংশ জাজিরা সংযোগ সড়ক, মাওয়া সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এলাকা-২-এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এ তিন অংশের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান এএমএল-এইচসিএম। অংশ তিনটির পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আর প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীপ্রসঙ্গত, ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৮২দশমিক ১৫ টাকায় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেডকে এ কাজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ মে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

আরও পড়ুন
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত