ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
ঢাকা ও ব্যাংকক পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান        বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী     
২২৩৭

কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার এর-

কিছু কথা না বললেই নয়...(০৮)

ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ আব্দুস সাত্তার

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৪   আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৪

আমি আজ যার কথা লিখতে যাচ্ছি তিনি একজন এফবি বন্ধু। আমার এফবিতে প্রায় পাঁচ হাজার বন্ধু আছে। হাতে গোনা কয়েকজনের সাথে লেখালেখি নিয়ে কমেন্ট লাইক আদান প্রদান ও কথা বার্তা হয়। আর বাকীরা সেই মেঘের দেশে ঘুড়ে বেড়ায়। অনেক সময় নেমে আসে কেউ কেউ সুন্দর এই পৃথীবিটা দেখার জন্য! দেখা শেষ হলে আবার চলে যায় নিরুদেশে! লেখার জগতে আগে আসলেও এই এফবি আমাকে প্রতিনিয়ত লেখাতে বাধ্য করছে? এই এফবি থেকেই আমি পেয়েছি অনেক ভালো বন্ধু যাঁদের অনেকের সাথে এখনো দেখা হয়নি। পৃথীবিটা এখন এতো ছোট তাই মনে হচ্ছে আমার ভালোলাগা ও ভালোবাসার বন্ধুদেরকে ঠিকই পেয়ে যাবো একেক করে।      

 

অনেক ইচ্ছা থাকা শর্তে ও বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বই মেলায় যেতে পারিনি। তাই 

নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা  ১৩,১৪,১৫ জুন ২০১৪ যেতে একটু ও ভুল করিনি। বিশ্বজিত সাহা চমৎকার একটি মেলার আয়োজন করেছেন। দেশ বিদেশ থেকে অনেক প্রকাশক, লেখক, সাহিত্যিক ,গবেষক ও সাংস্কৃ্তিক মনা লোকজন এসেছেন। মেলায় যেয়ে অনেকের সাথেই কথা বার্তা করছি আড্ডা দিচ্ছি ঠিক সেই সময় পিছন থেকে এসেই বললেন;-

 

- সাত্তার ভাই না?  

-জি।

-সালাম। আমি অন্তরা।

-অলাইকুম সালাম।

-কেমন আছেন।

- ভালো।

-আমি জানতাম আপনি এই মেলায় অবশ্যই আসবেন। আমি আপনার একজন ভালো পাঠক। আপনার প্রতিটি লেখা কয়েকবার পড়ি তারপর ফটোকপি করে রেখে দেই। যেন আবার পড়তে পারি। আপনি অসাধারন লেখেন। এই বছর বাংলা একাডেমীর অমর একুশের বই মেলায় প্রকাশিত "জোছনা আসে ফিরে" কাব্যটি অটোগ্রাফ সহ দিবেন প্লিজ। পাশেই দাঁড়ানো ছিল বন্ধু হাকিকুল ইসলাম খোকন, তাকে উনি ও চিনেন। ডেকেই বললেন আমাদের একটা ছবি তুলে দেবার জন্য। তারপর আরও কতো কথা যে বললেন তিনি আমি শুধু শুনে গেলাম। 

 

আমি অনেক লেখকের কাছ থেকে বই নিয়েছি আমি জানি আমার প্রতক্রিয়া তখন কেমন ছিল কিন্ত আজ আমার কাছ থেকে পাঠক বই নিচ্ছে এবং উনার অনুভূতি দেখে আমি আনন্দে কাঁদতে ইচ্ছে করছিল। আমার মনে হয় লেখকের এখানেই সার্থকতা।   

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ অন্তরা আপনাকে। আপনার মুগ্ধতা আমাকে এখন লিখতে উৎসাহ দিচ্ছে। কাজ ও পড়ালেখার জন্য যদিও সময় করে উঠতে পারিনা। তবু ও চেষ্টা করি কিছু না কিছু লিখে যেতে অনবরত। আপনাদের দোয়া থাকলে লিখে যাবো ওপাড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।  আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্‌ আপনাদের সহায় হউক। আমীন।

"আব্দুস সাত্তার
ওয়াশিংটন ডিসি"

আরও পড়ুন
প্রবাস ভাবনা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত