ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আগামীকাল দেশে ফিরবেন      বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে        আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি        আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন     
১০৬৮

ভারত বিরোধী রাজনীতির জন্যই বিএনপি মোদীর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২০  

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র ভারত বিরোধী রাজনীতির ধারাবাহিকতার জন্যই মুজিববর্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলছে। আসলে বিএনপির মূল রাজনীতিই হচ্ছে ভারত বিরোধীতা। ভারত বিরোধী রাজনীতি তাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, তাই এর ধারা বাহিকতা রক্ষার জন্যই ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সকল অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই ধরনের প্রশ্ন তোলা দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে একটি হচ্ছে তাদের ভারত বিরোধী যে রাজনীতি সেই রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, আর একটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বিরাজ করছে তার উসকানি দেওয়া। আমি আশা করবো তারা এই পথ পরিহার করবে।
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের অংশগগ্রহণ না থাকলে মুজিববর্ষের পূর্ণতা পাবে না মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যদি ভারতের অংশগগ্রহণ না থাকে, তাহলে আমি মনে করি, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানটি পূর্ণতা পায় না। মুজিববর্ষে ভারতের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে কী ঘটেছে, কী ঘটেনি সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশে তো এমন কোনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে না যাতে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বেশ কয়েকমাস আগে। তিনি তা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো দেশের যদি এককভাবে অবদান থাকে তা ভারত। বাংলাদেশের ১ কোটি মানুষ সেখানে (ভারত) আশ্রয় নিয়েছিল, তারা সর্বাত্মকভাবে আমাদের সহায়তা করেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য ভারতের তৎকালীন সরকার ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গেছেন। সেই আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্বজনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পেলেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছে। সে কারণেই নরেন্দ্র মোদীকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতিবেশী অন্যান্য দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার কি ভাবছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা মনে করি দেশে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে যারা সবসময় বিরোধী রাজনীতি করে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পক্ষ থেকে এগুলো করা হচ্ছে। এখানে ভারতের সরকারকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ভারতের কোন সরকার ক্ষমতায় আছে সেটি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ সময় ‘বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি উকিল নোটিশে’র বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশে এর আগে প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। গত এগারো বছরে এ সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ১০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, সেখান থেকে এখন ৩৪টি চ্যানেল চালু রয়েছে, সরকার ৪৫টির লাইসেন্স দিয়েছে।’

‘শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি’ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কারণ এ চ্যানেলগুলো শুধুমাত্র বিনোদনই দেয় না, দেশ, জাতি ও সমাজ গঠনে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়া ও ভুলত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ক্রমিকের বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরদের হাতে জিম্মিদশা থেকে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে মুক্ত করা হয়েছে, যেটি ১২ বছরে সম্ভবপর হয়নি, সেটি আমরা ৬ মাসে করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বিদেশি অনেক টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো হচ্ছিল। এই অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করেছি। দেশের প্রচুর বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচিছল, সেটিও রোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি, যদিও ক্যাবল অপারেটররা আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে করতে পারেনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে আমরা আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যাতে খুব সহসাই কেবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটাল হয়। অর্থাৎ এখানে একটি শৃঙ্খলা স্থাপন করার জন্য আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগিতাও পাচ্ছি।
তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ দেন এবং বলেন, উকিল নোটিশে’র বিষয়টি পুরো দেখলে আমি সেটির জবাব দিতে পারবো।

মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত