ঢাকা, ০৬ মে, ২০২৪ || ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী      প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত এএফআইপি ও সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী        মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের        আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির        সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী     
৬৫

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪  

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আজ তার দপ্তর গভর্নমেন্ট হাউসে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের বাণিজ্য ও বিনিযোাগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগ এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’
এরআগে দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেন এবং তারপর তারা সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। এসবের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্বারক এবং একটি আগ্রহপত্র রয়েছে।
মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ  প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংযোগসহ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন এবং তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে আরো উৎসাহিত করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে, আমাদের অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের প্রচার ও সুবিধার্থে আমরা অবশ্যই সকল প্রচেষ্টা চালাবো।’
তিনি বলেন, ঢাকা ও ব্যাংকক আজ যে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো দাঁড় করানোর সুযোগ করে দেবে।
তাঁর সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ সফর ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ যা দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়ন করার একটি চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি প্রদান করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতিকে ধরে রাখতে হবে।’
মধ্যাহ্নভোজ সভায় যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।







মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত