ঢাকা, ০৫ আগস্ট, ২০২৫ || ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
Breaking:
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৫ ও ৬ আগস্ট বিজয় র‌্যালি করবে বিএনপি     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  হার্টের রিংয়ের দাম কমলো        ‘জুলাই-গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা        মেরুদণ্ড আছে, এজন্যই দাঁড়িয়ে আছে ইসি: সচিব        জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি : সালাহউদ্দিন     
৪৫২

৫৩ বছরেও প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিফলন ঘটেনি :নুর

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪  


মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশের মানুষের মধ্যে নতুন করে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, ‘এবার একটা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে। ছাত্র-জনতার সংগ্রামে আনা পরিবর্তনটা টেকসই এবং স্থায়ী হতে হবে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, গত দেড় দশকে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল। বিরোধী দল করার কারণে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আজকে বিভিন্ন দলের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি।
সেটা কিন্তু গত ১৫ বছরে আমরা সেভাবে পাইনি। যার ফলে গোটা দেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা নতুন করে বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধারণ করতে হবে, বাস্তব রূপ দিতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতা, তরুণরা যেভাবে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে রুখে দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করার জন্য আগামীতে তারা কাজ করবে আমরা সেই প্রত্যাশা করি।’

নুর বলেন, ‘আপনারা জানেন যে নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দলের মতামত আছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে আমরা যদি আজকের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি, এদেশের কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষ কেন জীবন দিয়েছে? তারা একটা বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক একটা ইনক্লুসিভ সমাজ চেয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এটি আসলে বাস্তবায়ন করেননি নানা কারণে।’ 

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
বিগত ৫৩ বছরে অনেক প্রত্যাশা ছিল জনগণের, সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের প্রতিফলন ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে, তারাই ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাটসহ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি উন্নয়নও যে হয়নি তা-ও বলা যাবে না। তবে উন্নয়ন করতে গিয়েই তারা লুটপাটের পরিমাণ অনেক বেশি করেছে। বিশেষ করে বিগত ১৭ টি বছর ছিল লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থ পাচারের একটা স্বর্ণযুগ। এই সময়ে বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। যার কারণে দেশের মানুষ ফুসে উঠেছিল। গণতন্ত্রহীনতা, ভোটারহীনতা এবং মানুষের ন্যায়বিচার থেকে দূরে রাখার কারণে, মানবাধিকারকে পদদলিত করার কারণে মানুষ ফুটে উঠেছিল।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁইসহ আরো অনেকে।







মুক্তআলো২৪.কম

 
আরও পড়ুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত