এনবিআর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে
অনলাইন
নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে এনবিআর চলতি অর্থবছরে (২০১৪-১৫) এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ।এ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কর অঞ্চলগুলোতে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ও রাজস্ব আহরণের দিক থেকে সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বকেয়া রাজস্ব আদায় জোরদার, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ইনহাউস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানো, কর ফাঁকির শাস্তির জরিমান ব্যয়বহুল করা, সময়মতো সঠিকভাবে অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি, রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট শক্তিশালীকরণ, কর কার্যক্রমে সুশাসন বাড়ানো এবং করদাতাদের সাথে কর কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমদানি তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই এবং রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজেটে ঘোষিত নতুন খাতগুলোর ওপরও নজরদারি বাড়াবে এনবিআর।
গত বৃহস্পতিবার এ সব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বৈঠকে তাঁদের এ সব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রতিটি ব্যবাসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিগত কয়েক বছরের রাজস্ব প্রদানের গতি-প্রকৃতি ও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে সার্কেল এবং বিভাগভিত্তিক মাসিক ও বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা আহরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে করদাতাদের তথ্য ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম সহজ করার উদ্দেশে প্রচারণা বাড়ানোর পাশাপাশি কর অঞ্চলগুলোর সার্ভিস ডেস্কের কার্যক্রম আরো উন্নত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি খাতে নতুন করে করারোপ করা হয়েছে। বোতলজাত পানির ভিত্তিমূল্যের ওপর ৩ শতাংশ উতসে কর, আমদানি পর্যায়ে অন্যান্য পণ্যের মতো স্বর্ণ, রৌপ্য ও সেলফোন সেটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ইজারা দলিল নিবন্ধনে দলিল মূল্যের ওপর ৪ শতাংশ হারে উতসে কর, কুইক রেন্টালে ৬ শতাংশ উতসে কর, জীবন বীমার ক্ষেত্রে পরিশোধিত প্রিমিয়ামের অতিরিক্ত মুনাফা প্রদানের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ আয়কর আরোপ করা হয়। নতুন এ সব খাতে রাজস্ব আদায়ে এনবিআর মনিটারিং জোরদার করবে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সরকারের এ ব্যয়ের এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা জোগান দেবে এনবিআর। সবচেয়ে বেশি ৫৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আসবে আয়কর খাত থেকে। এর মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার ৪৮০ কোটি, করপোরেটদের কাছ থেকে ৩১ হাজার ১২০ কোটি ও ভ্রমণ কর বাবদ ৯০০ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে আয়কর বিভাগ।
চলতি অর্থবছর আয়করের পরই ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি ৫৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আহরণের পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এ খাতের আওতায় আবগারি শুল্ক বাবদ এক হাজার ১৫০ কোটি, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৬ হাজার ৮৫০ কোটি, স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ৩৭ হাজার ৫৭০ কোটি ও টার্নওভার কর ১০ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
- এনবিআর বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিদের থেকে কর আদায়ে নামছে
- সন্তুষ্ট মার্কিন জোট পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে
- টেলিনরের নতুন পরিকল্পনা ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধিতে
- বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য ভারতের প্রতি
- প্রয়োজন যোগ্য চার্টার্ড সেক্রেটারি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে:
- এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সফর প্রসঙ্গে - সবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ৫৫ শতাংশ
- এক বছরে বেড়েছে ৬২%
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের তিন হাজার কোটি টাকা - কালশী রোডে ওয়ালটন শো-রুম উদ্বোধন হলো মিরপুরের
- ম্যানুফেকচারিং শিল্প ইউনিট স্থাপন করুক টাটা মটরস:বাণিজ্যমন্ত্রী
- ৬৮০ কোটি ডলার গত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি
- সম্মত কোরিয়া বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য সংখ্যা বাড়াতে:বাণিজ্যমন্ত্রী
- পুরস্কৃত করলো ইগলু ৮১ বিক্রেতাকে
- যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অবশেষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল ব্রিজ নির্মাণের জন্য
- একনেকে ২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্পের অনুমোদন