ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ || ১৫ কার্তিক ১৪৩২
Breaking:
নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চায় জামায়াতসহ আট দল     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  শাপলা কলি নয়, ফুল চায় এনসিপি        জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার এখতিয়ার এই সরকারের নেই : মির্জা ফখরুল     
৮৭৯

কাউনিয়ায় সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১  


কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ  কাউনিয়া উপজেলায় নদী, নালা, খাল, বিল, ডোবাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে যত্রতত্র পাট জাগ দেয়ায় পানি পচে তা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকিসহ মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিনত হচ্ছে। কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় এক দিকে যেমন পানি পচে পরিবেশ হচ্ছে মারাত্বক দুর্গন্ধময়, তেমনি ভাবে বিভিন্ন  প্রজাতির দেশী মাছের উৎপাদন ও কমছে। 

সরেজমিনে বিভিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নদী তীরবর্তী শত শত মানুষ পচা দুর্গন্ধময় পানি ব্যবহার করে পানি বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃষকদের অসচেতনতার কারণে পাটের আঁশ ছরান রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগ ও পাট উন্নয়ন দপ্তরের তেমন কোন প্রচারনা নেই। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে তেমন কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। ফলে শত বছরের সেই সনাতন পদ্ধতিতেই পাট জাগ দিয়ে আসছেন কৃষকরা। আর প্রতি বছর পাট মৌসুমে পরিবেশ মারাত্বক বিপর্যয়ে পড়ছে অথচ মাথা ব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের। উপজেলার সারাই, হারাগাছ, কুর্শা, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর ও হারাগাছ পৌর সভা সহ বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা সতী নদী, মানাস নদী, বাঁধের রাস্তার বড় পিঠ এবং বিল ডোবায় যত্রতত্র ভাবে পাট জাগ দিতে দেখা গেছে। ক্রমাগত জলাশয় ভরাট ও দখলের কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ের অভাবে বছরের পর বছর ধরে পাট পচানোর উদ্দেশ্য যত্রতত্র পাট জাগ দেয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে মাত্র ৯৫০ হেক্টর। পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রাবৃদ্ধিতে নেই কৃষি বিভাগের কোন উদ্যোগ। জানাগেছে পাটের আঁশ ছাড়াতে কৃষকদের মাঝে রিবোন রেটিং মেশিন বিতরণ করা হলেও তা ব্যবহার হয়কিনা সে খবরও কৃষি বিভাগ রাখেনা। কিছু পাট চাষী  বলেছেন তারা রিরন রেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। গদাই গ্রামের পাট চাষী আলআমিন জানান, রিবন রেটিং মেশিন সম্পর্কে জানলেও তা ঝামেলা পুর্ন মনে হওয়ায় আগের পদ্ধতিতেই পাট জাক দিয়েছেন। পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনারুল জানান খালে বিলে পাট জাগ দেওয়ায় মাছের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানি ব্যবহারের ফলে লোকজনের খোস পাঁচড়া ও চুলকানি হচ্ছে। সেই সাথে মশা মাছির বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন জানান কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতির ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। 

 

 

 

 

মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
জেলা খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত