মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর সমুদ্র মহড়া সমাপ্ত
মুক্তআলো২৪.কম
বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহের বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০২১’।
বুধবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে বানৌজা সমুদ্র অভিযান থেকে সমাপনী দিবসের মহড়াসমূহ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী জাহাজে এসে পৌঁছালে কমান্ডার বিএন ফ্লিট কমডোর মীর এরশাদ আলী তাকে স্বাগত জানান এবং নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল জাহাজে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৫ দিনব্যাপী আয়োজিত এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ ও নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট। মহড়ায় হেলিকপ্টারও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাসমূহ এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।
আরো বলা হয়, মোট ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত এ মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল; নৌ বহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিকস অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া প্রভৃতি।
নৌবাহিনীর এ বার্ষিক মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালানরোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র এলাকায় প্রহরা নিশ্চিতকরণ।
চূড়ান্ত দিনের মহড়ার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ, বিমান বিধ্বংসী গোলাবর্ষণ, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ডেপথ চার্জ নিক্ষেপণ, ভিবিএসএস ও নৌকমান্ডো মহড়া এবং নৌ যুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল।
মহড়া সফল সমাপ্তির পর প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের সকল কর্মকর্তা ও নাবিকদের উদ্দেশে তার মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি সফল মহড়ার জন্য সকল নৌ সদস্যদেরকে অভিনন্দন জানান এবং নৌ সদস্যদের পেশাগত মান, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন এবং সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন।
নৌ মহড়ার সমাপনী দিনে অন্যান্যের মধ্যে নৌ সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিটসহ স্থানীয় উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তআলো২৪.কম
- দেশে ফিরেছেন জয় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে
- আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যা হলো বেদনাদায়ক: ডা. উত্তম কুমার
- আজ চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কাকডাকা ভোরে
আজ জাতীয় শোক দিবস. - ঈদের আগেই কর্মহীনদের নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
- মোদিকে টেলিফোন শেখ হাসিনার
- আগামীকাল পহেলা বৈশাখ,বাংলা ১৪২৬ সালের প্রথম দিন
- প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন
- সাঈদ সাহেব আপনি এই বেড়া-সাঁথিয়ায় ঝামেলা করতে চান:শামীম ওসমান
- মমতাকে ফোন করে সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতির খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী
- করোনায় মারা গেলেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির
- ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ২৫টি মোবাইল অ্যাপস চালু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে
- `আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা রক্ষী হবো`