ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি        বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের        বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর     
৮২৬

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২১  

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ


প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন (৪ হাজার ৬০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ৯২ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার ( ২৯ জুন) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে সাড়ে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে এ মহামারির মধ্যে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ‘খুবই ভালা’ খবর জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মূলত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই এই সফলতা এসেছে। এ জন্য আমি আবারও প্রবাসী ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা এবং বিদেশি ঋণ-সহায়তা বৃদ্ধি রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, ১২ বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.১ বিলিয়ন হতে সাড়ে ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এত অল্প সময়ে এত বেশি পরিমাণ রিজার্ভ। এটি নি:সন্দেহে একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের ২৮ দিনে (১ জুন থেকে ২৮ জুন) ১৭৫ কোটি ২০ লাখ (১.৭৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের জুনের এই ২৮ দিনে এসেছিল ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে বিদায়ী অর্থবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৬ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। মার্চের শেষের দিকে তা আবার ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। গত ২৮ এপ্রিল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। তবে ৪ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এক মাসেরও কম সময়ে ১ জুন তা ফের ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এক মাসের কম সময়ে সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর ৪১ বিলিয়ন অতিক্রম করে।

 

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আকুর মে-জুন মাসের বিল পরিশোধ করতে হবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে। তার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের উপরেই অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ২০২০ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানেই রিজার্ভ বেড়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার।

মহামারির মধ্যেও চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। আর অর্থবছরের দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিদেশি ঋণ-সহায়তা এসেছে ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। অন্যদিকে এই দশ মাসে ৪৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।


 

মুক্তআলো২৪.কম

 

 

আরও পড়ুন
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত