ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ || ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Breaking:
গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : খালেদা জিয়া     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  জাইকাকে মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার        ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব : তারেক রহমান        কয়েকজন ছাত্রের কথায় নির্বাচন হচ্ছে না: মেজর (অব.) হাফিজ        উপকূল অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপ, ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা     
৪০

তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭":সজীব ওয়াজেদ জয়

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫  

তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭

তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭":সজীব ওয়াজেদ জয়


সে সময় তার গর্ভে ছিল ছয় মাসের একটুকরো প্রাণ। তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭।
স্বামী ছিলেন সীমান্তের ওপারে, যুদ্ধের প্রশিক্ষণে।

আর এইদিকে—সে এক অন্ধকার সময়…

রংপুরে একদিন আচমকা তার পৃথিবী ভেঙে পড়ে।

আল-বদর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, সঙ্গে তিনজন পাকিস্তানি হায়েনা তাকে ঘিরে ধরে। তারা তাকে ধর্ষণ করে। বারবার। নির্মমভাবে। তার স্বামীর বাড়ির কাছে এক নির্জন ঘরে।

তবু তৃপ্ত হয়নি হায়েনারা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে—রংপুর টাউন হলে। আটক রাখা হয় ১৮ দিন। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত—ধর্ষণ, নির্যাতন, কান্না আর চিৎকারে মোড়া।

শেষমেশ…

তার গর্ভের ভ্রূণ আর বাঁচে না। রক্তে ভেসে যায় মায়ের ভেতরের ছোট্ট পৃথিবীটা। তিনি হারান তার অনাগত সন্তানকে। প্রায় মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গেলে, ১৯তম দিনে, তাকে ফেলে রেখে যায় নরপিশাচরা।

তবু তিনি মরেননি।

বেঁচে ছিলেন—বুকের ভিতরে আগুন নিয়ে।

৪০ বছর পর, সেই আগুন নিয়ে তিনি দাঁড়ান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে। একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে, তিনি জানান—সেই বিভীষিকার দিনগুলোর কথা। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর।

আর ঠিক এক বছর পরে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, বিচার আসে। যুদ্ধাপরাধী ATM আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

সেই সাহসী নারীর নাম গোপন রেখে আদালত তাঁকে "এম.কে." নামে উল্লেখ করে।

আজ, ২৭ মে ২০২৫, আমরা লজ্জিত। আমরা অনেক বেশী লজ্জিত।









মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত