তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭":সজীব ওয়াজেদ জয়

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৩:২৪ এএম, ২৮ মে ২০২৫ বুধবার

তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭

তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭":সজীব ওয়াজেদ জয়


সে সময় তার গর্ভে ছিল ছয় মাসের একটুকরো প্রাণ। তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭।
স্বামী ছিলেন সীমান্তের ওপারে, যুদ্ধের প্রশিক্ষণে।

আর এইদিকে—সে এক অন্ধকার সময়…

রংপুরে একদিন আচমকা তার পৃথিবী ভেঙে পড়ে।

আল-বদর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, সঙ্গে তিনজন পাকিস্তানি হায়েনা তাকে ঘিরে ধরে। তারা তাকে ধর্ষণ করে। বারবার। নির্মমভাবে। তার স্বামীর বাড়ির কাছে এক নির্জন ঘরে।

তবু তৃপ্ত হয়নি হায়েনারা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে—রংপুর টাউন হলে। আটক রাখা হয় ১৮ দিন। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত—ধর্ষণ, নির্যাতন, কান্না আর চিৎকারে মোড়া।

শেষমেশ…

তার গর্ভের ভ্রূণ আর বাঁচে না। রক্তে ভেসে যায় মায়ের ভেতরের ছোট্ট পৃথিবীটা। তিনি হারান তার অনাগত সন্তানকে। প্রায় মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গেলে, ১৯তম দিনে, তাকে ফেলে রেখে যায় নরপিশাচরা।

তবু তিনি মরেননি।

বেঁচে ছিলেন—বুকের ভিতরে আগুন নিয়ে।

৪০ বছর পর, সেই আগুন নিয়ে তিনি দাঁড়ান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে। একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে, তিনি জানান—সেই বিভীষিকার দিনগুলোর কথা। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর।

আর ঠিক এক বছর পরে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, বিচার আসে। যুদ্ধাপরাধী ATM আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

সেই সাহসী নারীর নাম গোপন রেখে আদালত তাঁকে "এম.কে." নামে উল্লেখ করে।

আজ, ২৭ মে ২০২৫, আমরা লজ্জিত। আমরা অনেক বেশী লজ্জিত।









মুক্তআলো২৪.কম