ঢাকা, ০৩ মে, ২০২৪ || ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ কাজ করতে পারে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী      মহান মে দিবস পালিত      আগামীকাল শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন      নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: ওবায়দুল কাদের        সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ        উপজেলা নির্বাচনে জনগণই তাদের পছন্দ মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক : প্রধানমন্ত্রী     
৯৮৮

রহস্যময় বিশাল গর্ত পৃথিবীর প্রান্তে !

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৪   আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪

রহস্যময় বিশাল গর্ত পৃথিবীর প্রান্তে !

রহস্যময় বিশাল গর্ত পৃথিবীর প্রান্তে !

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত’ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার ইয়ামাল পেনানসুলায় রহস্যময় একটি গর্ত বিশাল এক রহস্য তৈরি করেছে । সপ্তাহ খানেক আগে তৈরি বিশাল এই গর্ত কীভাবে হলো, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এক সপ্তাহ পরও এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।অদ্ভুত এই গর্তটি তৈরির কারণ কী হতে পারে? গর্ত তৈরির কারণ হিসেবে এখন পর্যন্ত অনেক তত্ত্বই শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, গ্রহাণুর আঘাতে এটা ঘটেছে, কেউ বলছেন আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) এর কারণ হতে পারে।
গর্তটির গভীরতা কত, তা এখনো পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। তবে গর্তমুখের পরিমাপ ১০০ মিটারের কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গর্তটির তৈরি হওয়া নিয়ে যে রহস্য তৈরি হয়েছে, তা সমাধান করতে ইতিমধ্যে কাজে নেমে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সিডনি থেকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে বুধবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। তাঁরা এই রহস্যের কিনারা করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।তবে এই রহস্যময় গর্ত তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভূগর্ভস্থ পানি, লবণ ও গ্যাসের মিশ্রণের ফলে কোনো এক বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হতে পারে এই গর্ত। অবশ্য গ্রহাণু বা উল্কার আঘাতে এই গর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন অনেকে।

হঠাৎ করে সাইবেরিয়ায় তৈরি বিশাল এই গর্তের ভেতরটা ঘন কালো। সম্প্রতি এই গর্তটির একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এই রহস্যময় গর্ত এবং তার চারপাশ ঘিরে থাকা গাছপালা। এলাকাটি বেশ দুর্গম। গর্তটির আশেপাশের মাটিও বেশ বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল বলে মনে হয়। এই এলাকার কাছেই একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, মাটির নিচে গ্যাস, পানি ও লবণের মিশ্রণে কোনো বিস্ফোরণ ঘটার কারণে তৈরি হয়েছে এই গর্ত।

অবশ্য ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’-এ এই রহস্যময় গর্ত নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে ‘পিঙ্গো’ নামের একটি বিশেষ তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের পোলার সায়েন্টিস্ট ডক্টর ক্রিস ফগউইলের মতে, এই গর্ত তৈরি হয়েছে পিঙ্গোর কারণে। পিঙ্গো হলো মেরু এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে পাওয়া এক ধরনের বরফের স্তূপ যা মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকে। পিঙ্গোর আকৃতি বেশি বড় হলে এটা যদি গলে গিয়ে থাকে, তবে এই বিশাল গর্ত সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদ ডেভিড উইলশের মতে, এটি রহস্যজনক একটি ঘটনা। মাটি নিচের দিকে ধসে গিয়ে তৈরি হওয়া এটা কোনো সাধারণ সিঙ্ক হোল নয়, আবার কোনো উল্কাপাতের ফলেও তৈরি নয়। উল্কার আঘাতে এত বড় গর্ত তৈরি হওয়ার ঘটনা ঘটলে তার প্রভাব হতো ভিন্ন। এ ছাড়া এত গভীর গর্ত হওয়ার প্রশ্নই উঠত না। গর্তের কিনার ঘিরে যে জঞ্জাল দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় মাটির নিচ থেকে কোনো ধরনের বিস্ফোরণে এটা তৈরি হয়েছে। অবশ্য এই অঞ্চলটি ভূকম্পনপ্রবণ এলাকা নয়। এটা পকেট আকারে সঞ্চিত প্রাকৃতিক গ্যাসের বিস্ফোরণে তৈরি হতে পারে।বর্তমানে এই রহস্যময় গর্তের রহস্য উদ্ধারে ইয়ামাল কর্তৃপক্ষ, রাশিয়ার সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য আর্কটিক ও ক্রায়োস্ফিয়ার ইনস্টিটিউট অব দ্য অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকেরা কাজ করছেন। মাটি, পানি ও বাতাস থেকে নমুনা বিশ্লেষণ করে এই রহস্য সমাধান করতে চেষ্টা করবেন তাঁরা। রহস্যের জট কি খুলবে শিগগিরই? প্রকৃতির এই রহস্যের সমাধান জানতে আমাদের আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন
শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত