ঢাকা, ০৬ মে, ২০২৪ || ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
অভিবাসন সংক্রান্ত অপতথ্য রোধে বাংলাদেশ-ইতালি একসঙ্গে কাজ করবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী      প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত এএফআইপি ও সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী        মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের        আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির        সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী     
১৬৪৬

মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়?

ডা. নুজহাত চৌধুরী

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০  

মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়? অন্যের মাথা হেঁট করে দিলে কি নিজের মাথার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়?সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।মুক্তআলো২৪.কম পাঠকদের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

 

মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়? অন্যের মাথা হেঁট করে দিলে কি নিজের মাথার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়? বৃদ্ধ একজন মানুষকে অপমান করে তার ছবিও তুলে রাখলেন।  এতো কঠিন আপনার ভিতরটা? একদিন কি সব কৃত কর্মের জবাব দিতে হবে না? শেষ বিচারের দিনেও না? সেদিন সৃষ্টিকর্তার সামনে আপনার মাথা কি উঁচু থাকবে? এতো বড় বৈশ্বিক দুর্যোগের সম্মুখে দাঁড়িয়েও যারা আহমিকা ছাড়তে পারে না, তাদের মনুষ্যত্বই নাই।  তাদের আমি মানুষই মনে করি না।  ভাবছেন কান ধরিয়েছেন যে বৃদ্ধের তাকে অনেক অপমান করে ফেললেন? হায় রে কুশিক্ষিত, অর্বাচীন মেধাবী! গায়ের জোরের ভয়কে সম্মান বলে না।  আজ পুরো জাতিকে জিজ্ঞাসা করুন, এই ঘটনায় এই পিতৃসম বৃদ্ধের অমর্যাদা হয়েছে নাকি আপনার শিক্ষা, পরিবারিক পরিচয়কে আপনি জাতির সামনে ভূলুণ্ঠিত করলেন। আপনি আপনার চাকরীর সমগ্র ক্যাডারকে জাতির সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করালেন। প্রশ্ন উঠছে, কি প্রশিক্ষন দেয়া হয় আপনাদের? কোথা থেকে শেখেন এতো আদবের বরখেলাপ? যত বড় টেবিলেই বসেন আর যত টাকার মালিকই হন – আজকের এই ছবিতে কারো যদি অপমান হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে আপনার।  সমগ্র জাতি আজ আপনাকে ধিক্কার দিচ্ছে, ছিঃ ছিঃ করছে।  সমস্যাটা কোথায় আমাদের? ফলে ফলে গাছ যত ভরে উঠে, ততই গাছ নুয়ে পড়ে।  মানুষ যত বড় হয় তার তো তত বিনয়ী হবার কথা।  আমাদের সমাজে হয়েছে ঠিক উল্টো।  দেশ যাকে যত বেশী দেয়, সে তত দেশকে লুণ্ঠন করে, দেশের মানুষের ক্ষতি করে।  তাই জনগণের সেবক রাতের অন্ধকারে তুলে এনে নির্যাতন করে সাংবাদিককে, তাই সরকারী অফিসে গলায় ফাঁস লাগানো পাওয়া যায় নিরপরাধ মানুষকে।  এতো অন্যায়, এতো অহমিকা, এতো অনাচার প্রকৃতি বেশী দিন সহ্য করবে না।  বিশ্বাস করেন সব হিসাব হবে, সব হিসাব হয়।  তাকিয়ে দেখেন চারপাশে – এই বৈশ্বিক মহামারীর দিকে তাকান।  কি মনে হয়? প্রকৃতি সব একদিন ফিরিয়ে দেয় না? পৃথিবীটা একটা প্রতিধ্বনি। আমরা যা দিবো তাকে, সে তাই ফিরিয়ে দেবে।  পাপ-পুণ্য, স্বর্গ-নরকের হিসাব তো তোলা থাকলো; এই পৃথিবীতেই সব হিসাব হয়।  পুরো চিত্রটা আমরা দেখতে পাই না দেখে মানুষ সেটা অনুধাবন করে না।  কোথা থেকে কি ভাবে যে বিচার হয়, কে জানে সে কথা? আজকের এই দুর্দিন কি মানুষকে কিছু শেখাচ্ছে না? মহাবিশ্বের এই সমুদ্র সৈকতে দুই মুহূর্তের জন্য মানুষের পদচারনা।  সেই যাত্রা পথে প্রকৃতির বুকে এত বিকৃত পদচিহ্ন না রেখে গেলেই কি নয়? হোক তা ব্যক্তি জীবনে অথবা মানবজাতি হিসেবে সামগ্রিকভাবে।  এই মহা সঙ্কটের সম্মুখে দাঁড়িয়ে সব মানুষের আজ নিজেকে প্রশ্ন করা প্রয়োজন।

 

মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত