ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে আগামীকাল দেশে ফিরবেন      বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে        আবারও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি        আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন     
৬৬৭

বেড়া পৌর`তে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে চরম দুর্নীতি ও ভোগান্তি

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১  

বেড়া পৌরসভা`তে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে চরম দুর্নীতি,ও ভোগান্তি

বেড়া পৌরসভা`তে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে চরম দুর্নীতি,ও ভোগান্তি


ষ্টাফরিপোটার  ঃ 
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে স্কুলে ভর্তি, এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্টের জন্য আবেদনসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু নাগরিকরা বলছেন, অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জম্ম নিবন্ধনে অনিয়মের  কারনে ভোগান্তি বেড়েছে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা সেনেটারি অফিসার লিয়াকত ও  অবৈধ ভাবে  দায়িত্বে থাকা পৌর পুলিশ মামুন হোসেন  কাছে জিম্মি এলাকা বাসি ।  চাকরির ৫ বছরে এদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২ শত গুন  এদের আচার আচারনে সাধারন জন গন অতিষ্ঠ  । 

ভুক্তভোগী-১ 

বছর দু'য়েক আগে নদী ভাঙনে ঘর হারানোর পর শেফালি আক্তার  একটি ভাড়া বাসায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আগামী বছর দুই সন্তানকে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি করাতে চান। তাই স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে যান বেড়া পৌর  অফিসে। কিন্তু তার ঠিকানা যাচাই সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হওয়ায় তিন-চারদিন ঘুরেও পারেননি সনদ জোগাড় করতে।

শেফালি আক্তার বলছেন, নদীর ভাঙনে ঘর হারানোর পর তার স্থায়ী ঠিকানা বলে কিছু নেই। তাই নিবন্ধন ফর্মে বর্তমান ঠিকানার জায়গায় ভাড়া বাসার ঠিকানা সংযুক্ত করে ঐ বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রমাণ হিসেবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিলে বাড়িওয়ালার নাম থাকায় নিবন্ধন অফিসের কর্মকর্তারা তার আবেদন গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আক্তার।

তিনি বলেন, 'কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ বিলে আমার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু আমি ভাড়া বাসায় থাকি, বিলে আমার নাম কীভাবে থাকবে?'

'তারা আবেদনপত্র গ্রহণও করছে না, সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে তাও বলছে না। এখন পর্যন্ত জানি না সনদ কীভাবে পাবো।'

ভুক্তভোগী-২

সন্তানদের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বৃশালিখা  বাসিন্দা সাজিয়া আক্তারও। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে বাবা-মা'র জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হয়। কাজেই সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে মিজ আকতারের নিজেরও নতুন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির প্রয়োজন পড়ে।

নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে গিয়ে নতুন ঝামেলায় পড়েন তিনি। 'আমার বাপের বাড়ি যে ইউনিয়নে, ফর্ম পূরণ করে সেই ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যাওয়ার পর বলে যে আমার বাবা-মা'র জন্ম নিবন্ধন নম্বর লাগবে। আমার মা-বাবা অনেক বছর আগেই মারা গেছেন, এখন তাদের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করবো।'

সাজিয়া আক্তারের মতো একই অভিযোগ পাওয়া গেছে আরো বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ২০০১ সালের আগে যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন হওয়ার

ভুক্তভোগী  ৩  

সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদ করাতে গিয়ে বনগ্রামের  বাসিন্দা মনিরুজ্জামান উজ্জলের অভিজ্ঞতা আরো হতাশাজনক।

তিনি বলছিলেন, 'আমার দুই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ করানো ছিল, কিন্তু সেখানে তাদের মায়ের নামে ভুল ছিল। পরে সেটি সংশোধন করি এবং গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমার কাছে আমার দুই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রিন্ট করা কপি হস্তান্তর করা হয়, যেটিতে সনদের দায়িত্বে থাকা  কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের স্বাক্ষরও ছিল।'

'কিন্তু কিছুদিন আগে সন্তানদের পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ঐ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দেয়ার পর দেখি ঐ নম্বর গ্রহণ করছে না। পরে জন্ম নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে আমার সন্তানদের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করাই হয়নি।'

'অর্থাৎ ডেটাবেসে তাদের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য নেই, যদিও আমার কাছে সনদের প্রিন্ট করা কপি রয়েছে।'

সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে উজ্জলকে বলা হয় সংশোধনের জন্য আবেদন করতে। 'অর্থাৎ সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটা আবারো পুনরাবৃত্তি করার উপদেশ দেয়া হয় আমাকে।'

সনদ সংগ্রহে আরো যেসব অভিযোগ

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে যাওয়া ব্যক্তিরা অভিযোগ করছেন সনদ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এমন হরেক রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

অধিকাংশই বলছেন , পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়ে প্রত্যাশিত সেবা তো তারা পাচ্ছেনই না, উপরন্তু পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক দুর্ভোগ।

অনেকেই বলছেন, কার্যালয়গুলোতে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাগরিকদের স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দিচ্ছেন না। সনদ সংশোধনের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে বলে দাবি সনদ নিতে আসা অনেকের।

মনিরুজ্জামান উজ্জল তার এলাকার জন্ম নিবন্ধন কার্যালয়ের সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, 'আমি বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই আবেদনকারীদের সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। অনেক সময় কোনো তথ্য জানতে চাইলেও স্পষ্টভাবে উত্তর দেয় না।' আগে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রয়োজন হলেও এই বছরের শুরু থেকে নিয়মে পরিবর্তন এনেছে সরকার। আর তারপর থেকেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে বলছেন আবেদনকারীরা।

এ বছরের জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়। তবে সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় শুরুতে বেশ কিছুদিন নতুন নিবন্ধন বা সংশোধনের কাজ বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার, প্রক্রিয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছ ধারণার অভাব, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ করছেন নাগরিকরা। মামুন ও লিয়াকতের জিম্মি দশা থেকে মানুষ মুক্তি চাই।  এদের ছত্রছায়া দিচ্ছে বেড়া পৌর   সহকারি প্রকোশলি ফিরোজুল  ইসলাম ফিরোজ ও বিদ্যুৎ মিস্ক্রি মহাদেব  দৃনীতির টাকা তাদের পকেটে যায়  তাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা রয়েছে ।  পুরো পৌর সভা সকল অনিয়মের মুল হোতা উপ সহকারি  আনোয়ার হোসেন তারা ও একাউন্ট অফিসার মিজানুর রহমান   মুনু, তার সহকারি বস্তিকর্মকর্তা   এস কে রাসিদুল ইসলাম  ২২ বছর ধরে বেড়া পৌর সভার নানা অনিযমের মার্ধমে কোটি কোটি টাকার দুনীতি ও ভৃয়া ভাউচার করে টাকা আত্নসাৎ করেছে  এদের নামে বেনামে কোটি টাকা সহ ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে । লিয়াকত ও মামুনের 

সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ

বর্তমানে যে প্রক্রিয়া চালু রয়েছে সে অনুযায়ী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফর্ম পূরণ করে অনলাইনেই তা জমা দেয়া যায়।

অনলাইনে ফর্ম জমা দেয়ার ১৫ দিন পর ফর্ম প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আঞ্চলিক জন্ম নিবন্ধন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেসব কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে কিছুদিন পর জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে থাকেন।

বয়স ভেদে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ২৫ থেকে ৫০ টাকা, আর সনদে সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এর বাইরে জন্ম নিবন্ধনের নানা অজুহাতে কারো নিকট হতে ৫ হাজার ১০ হাজর টাকা,নিতে দেখা গেছে বিষটি তদন্ত হলে  সব বের হবে।সূত্রঃমুক্তকন্ঠ

 




মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
পাবনার খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত