ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে অধ্যাদেশ জারি
মুক্তআলো২৪.কম
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে অধ্যাদেশ জারি
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
আজ রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ‘সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় ; এবং যেহেতু সংসদ অধিবেশন চলমান নেই এবং রাষ্ট্রপতির নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন। এই অধ্যাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।’
অধ্যাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৮ নং আইনের ধারা ৭, ধারা ৯ এর উপধারা (১), (৪), ১৯ এর উপধারা (১), ধারা ২০ ও ধারা ৩২ এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো। নিয়ম অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন শুরু হলে এটি আইন আকারে পাস হবে।
সংশোধিত আইনে বলা হয়, ২০০০ সালের ৮নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধনে জারি করা অধ্যাদেশে ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।
আগের আইনে ‘অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষার’ কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশে ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে। এছাড়াও ‘অপরাধের শিকার ব্যক্তির’ কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশে ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।
অধ্যাদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) পরীক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ধারা-৩২ এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াও উক্ত ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সালের ১০ নং আইন) এর বিধান অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত কিছুদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধগুলো কঠোরভাবে দমনের জন্য প্রস্তাব আনা হয়। মন্ত্রিসভায় এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহ সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন এবং পরবর্তীকালে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য এবং অবিলম্বে আনা প্রয়োজন। যেহেতু সংসদ কার্যকর নাই, সেজন্য এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি করা হবে। লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামতের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।বাসস
মুক্তআলো২৪.কম
- দেশে ফিরেছেন জয় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে
- আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যা হলো বেদনাদায়ক: ডা. উত্তম কুমার
- আজ চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কাকডাকা ভোরে
আজ জাতীয় শোক দিবস. - ঈদের আগেই কর্মহীনদের নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
- মোদিকে টেলিফোন শেখ হাসিনার
- আগামীকাল পহেলা বৈশাখ,বাংলা ১৪২৬ সালের প্রথম দিন
- প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন
- সাঈদ সাহেব আপনি এই বেড়া-সাঁথিয়ায় ঝামেলা করতে চান:শামীম ওসমান
- মমতাকে ফোন করে সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতির খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী
- করোনায় মারা গেলেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির
- ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ২৫টি মোবাইল অ্যাপস চালু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে
- `আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা রক্ষী হবো`