ঢাকা, ০৫ আগস্ট, ২০২৫ || ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
Breaking:
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৫ ও ৬ আগস্ট বিজয় র‌্যালি করবে বিএনপি     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  হার্টের রিংয়ের দাম কমলো        ‘জুলাই-গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা        মেরুদণ্ড আছে, এজন্যই দাঁড়িয়ে আছে ইসি: সচিব        জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি : সালাহউদ্দিন     
২৪০

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪  


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি  হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে এনেছেন উচ্চ আদালত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর ৪ ডিসেম্বর  শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ হলো বলে জানান এটর্নি জেনারেল।

ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। যে কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। সংবিধানের মূল কাঠামো হচ্ছে গণতন্ত্র। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

আলোচিত এই রিটের রুল শুনানিতে সুজনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইনসানিয়াত বিপ্লব দলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান।

এছাড়া রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। এদিকে আজ রায় ঘোষণার সময় পক্ষভুক্ত হওয়া আইনজীবী ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, নাফিউল আলম সুপ্ত এবং সাইয়েদ আবদুল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী আনা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। অসাংবিধানিক ভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।







মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত