জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
মুক্তআলো২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষে এবং তাঁর নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা হচ্ছে আপনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি এবং আপনার দল-লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি ও ডেয়েটের ওপর জাপানের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে উভয় দেশের চমৎকার সম্পর্ক বজায় থাকার কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। আর এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা।
প্রধানন্ত্রী এ দুই দেশের মধ্যে অটল ও স্থায়ী বন্ধুত্ব স্থাপনের ১৯৭৩ সালের সুনির্দিষ্ট এই অক্টোবর মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফরের কথা স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, এই পরীক্ষিত বন্ধুত্ব একটি ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বে’ পরিণত হয়েছে। এরফলে তাঁর সরকারের মাধ্যমে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বৃদ্ধি পেয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে আগামী বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কেও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ বোধ করেন।
তিনি আনন্দের সাথে উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ জাপানি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।
তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সাহায্য-সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।
তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সহযোগিতা ও সাহায্যের কথা কৃতজ্ঞতাসহকারে স্বীকার করেন।
এই মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর শেখ হাসিনা পারস্পারিক বিশ্বস্ত অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক পুনঃনিযুক্ত, পুনঃবিবেচনা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে উভয়দেশের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তি-প্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও জাপান আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে এবং বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পরস্পরকে সহযোগিতায় সর্বদা একসাথে কাজ করে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। তিনি রাখাইনে তাদের পৈতৃক বাসস্থানে এসব গৃহহীন ও পীড়িত মানুষের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আপনার সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্যে ফুমিও এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে তার পূর্বসূরী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে এবং সুগা ইয়াসিহিদের মতোই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি ফুমিও কিশিদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল এবং জাপানের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মুক্তআলো২৪.কম
- দেশে ফিরেছেন জয় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে
- আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যা হলো বেদনাদায়ক: ডা. উত্তম কুমার
- আজ চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কাকডাকা ভোরে
আজ জাতীয় শোক দিবস. - ঈদের আগেই কর্মহীনদের নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
- মোদিকে টেলিফোন শেখ হাসিনার
- আগামীকাল পহেলা বৈশাখ,বাংলা ১৪২৬ সালের প্রথম দিন
- প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
- প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন
- সাঈদ সাহেব আপনি এই বেড়া-সাঁথিয়ায় ঝামেলা করতে চান:শামীম ওসমান
- মমতাকে ফোন করে সাইক্লোনে ক্ষয়ক্ষতির খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী
- করোনায় মারা গেলেন সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির
- ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ২৫টি মোবাইল অ্যাপস চালু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে
- `আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা রক্ষী হবো`