ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
রাঙ্গামাটির সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে ছয়জন নিহত, আহত-৭      কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর        মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের        থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা     
৫৫৬

সরকার চৌরাস্তার মোড়গুলোতে ওভারপাস নির্মাণ করছে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেক্স

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যোগাযোগটা সহজ এবং যানজট মুক্ত করতে তাঁর সরকার চৌরাস্তার মোড়গুলোতে ওভারপাস নির্মাণ করে দেবে। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা যত রাস্তা করছি কোথাও আর চৌরাস্তার মোড় থাকবে না। এটাকে ওভারপাস করে নিয়ে যাব, সেটা সড়ক এবং রেল সব জায়গায়। যাতে করে যোগাযোগটা কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় এবং যানজট যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি।’ লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণে কোন যানবাহনকে আর সেখানে থামতে হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে রেললাইন থাকায় দিনে ২৪ বার সেখানে গেট বন্ধ করতে হয়, যা আর করতে হবে না, মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেন ফ্লাইওভার এবং লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত ভাষণে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন এবং প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথে উপআঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের নবম কি.মি.এ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর জাইকার অর্থায়নে এই দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। তিনি এ সময় মেঘনা সেতু এবং মেঘনা-গোমতি সেতুর জরাজীর্ণতার প্রসংগ উল্লেখ করে এর পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ২য় কাঁচপুর সেতুসহ এই তিনটি সেতুই জাইকার অর্থায়নে তৈরি হবে। সেতুগুলো চারলেনের হবে এবং এরফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এই সড়কটি আমরা ইতোমধ্যেই চারলেনে উন্নীত করেছি। কাজেই সাথে সাথে সেতুগুলোও যেন উন্নত হয়ে যায় সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। এটা হলে পরে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্য পরিবহন- সবক্ষেত্রেই সময় বাঁচবে এবং উন্নত হবে। তাছাড়া এ সব এলাকার যে যানজট, তাও দূর হবে।
ঢাকা-সিলেট সড়কটিও চারলেনের করে দিতে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে সংগতি রেখে ব্রীজ এবং ওভারপাসগুলোও যেন চারলেনের হয় সেই ব্যবস্থ্াই তাঁর সরকার নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে গতকালের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণ এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াশো ইজুমি এবং জাইকার স্থানীয় প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিগত ১০ বছরে দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নয়নের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তুলে ধরেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু এবং চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ৪ হাজার ৩৩১ কি.মি. সড়ক আমরা মজবুতকরণসহ ৫ হাজার ১৭১ হাজার কি.মি মহাসড়ক প্রশস্থ এবং ৪ হাজার ৮৬৯ কি.মি মহাসড়ক নির্মাণ এবং ৮ হাজার ২৫৮ কি.মি সড়ক ওভার রুলিং করা হয়েছে। ৪৫৭ কি.মি জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ৮ লেনে উন্নীত করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কি.মি মেরিন ড্রাইভও নির্মাণ করা হয়েছে। সেইসাথে ৩ হাজার ৯৭৭টি কালভার্ট নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা, টঙ্গী, চট্টগাম ফেনীতে ৭টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে বেশ কিছু আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।
রেল যোগাযোগের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬টি স্টেশন বিশিষ্ট মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে। এখানে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা থাকবে। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দও পর্যন্ত ২০ কি.মি. বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের কাজ ও দ্রুত সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ৩৩০ দশমিক ১৫ কি.মি নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে, ২৪৮ দশমিক ৫০ কি.মি. মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজে রুপান্তর এবং নতুন ৭৯টি রেল স্টেশন এবং ২৯৫টি রেল সেতু আমরা নির্মাণ করেছি।

রেলের উন্নয়নের জন্য ৩০ বছর মেয়াদি একটি মাস্টার প্লান নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার থেকে সব জায়গার সঙ্গেই যেন সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয় সেই উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। তিনি এ সময় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে তাঁর সরকারের রেল লাইন স্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তাঁর সরকার পদ্মা সেতুর রেল যোগাযোগকে বরিশাল পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং পায়রা বন্দর পর্যন্ত যেন রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত হয় তার সমীক্ষা চলছে। তাছাড়া ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত সংযোগ করে দিচ্ছে। যারফলে খুলনাতেও আরো সহজে যোগাযোগ করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের আওয়তায় গত ১০ বছরে ৫২ হাজার ২৮০ কি.মি সড়ক উন্নয়ন, ৭৫ হাজার ৭৭৩ কি.মি পাকা সড়ক, ৭১ হাজার ৬৩৬ মিটার ব্রীজ পুননির্মাণ এবং ৩ লাখ ১৩৪১ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার বিষয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, ‘এখানে তার খুব ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল। আমি ভারত থেকে ডা. দেবী শেঠীকেও আনিয়েছিলাম এবং তাকে দেখিয়েছিলাম কিন্তু মানুষের চাপ অর্থাৎ দর্শনার্থীদের ভীড়ে তার ইনফেকশন দেখা দেয়। কাজেই তাকে আমি সাথে সাথে সিঙ্গাপুর পাঠাই এবং সেখানে চিকিৎসা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। যেন সে দ্রুত আরোগ লাভ করে আমাদের মাঝে ফিরে এসে পূর্ণ উদ্যমে আবার কাজ করতে পারে।’

ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে সঙ্গে নিয়েই এ সেতুটি (কাঁচপুর ২য় সেতু) দেখতে যাওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন এবং এর নাম শীতলক্ষ্যা সেতু করার জন্য অনুষ্ঠানে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্যও জনগণকে পুনরায় পরামর্শ দেন। ইতোমধ্যে তাঁর সরকার নিরাপদ সড়ক আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেশের জনগণের সবথেকে বড় দোষ হচ্ছে তারা ট্রাফিক আইন মানে না।’ তিনি বলেন,‘যত্রতত্র দৌড়ে রাস্তা পার হয়, ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করে না, ছোট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলের মধ্যেও রাস্তা পার হতে চেষ্টা করে। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।’

প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা রাস্তার নিয়মগুলো মেনে চলবেন।’ এত দুর্ঘটনা ঘটার পরেও জনগণের ধৈর্যের বড় অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বা ফুটওভার ব্রীজ বা আন্ডারপাস দিয়ে যে রাস্তাটা পার হবেন, সকলে কিন্তু হচ্ছেন না।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে গাড়ি চালকদেরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। বাস-ট্রাক দুই-দিন ঘন্টা চলার পরে চালকরা যেন একটু বিশ্রাম পান সেটা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি । তিনি এ সময় চালকদেরকে গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে যেকোন অশুভ প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকার ও পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি চালকদেরকে বলবো- তারা গাড়ি চালাবার সময় একটি অশুভ প্রতিযোগিতা রাস্তায় করে। এই অশুভ প্রতিযোগিতার ফলেই কিন্তু অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কাজেই এই অশুভ প্রতিযোগিতা যেন না করতে পারে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।’ তিনি এ সময় হাইওয়েতে ক্যামেরা এবং স্পিড মিটার ইনষ্টল করার ও পরামর্শ দেন। একটা গাড়ি পাস করে গেলে তাকে ধরতে হবে, এই মনমানসিকতা পোষণ না করে কেউ বাসের চালক হলে তাকে মনে রাখতে হবে, বাসে আরো অনেক যাত্রী রয়েছেন এবং তাঁদের প্রত্যেকের জীবনটা মূল্যবান। হেলপাররা কখনও সখনো গাড়ি চালালে তাদেরও অবশ্যই লাইসেন্স গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন রাস্তা যেখানে করছি এবং ব্রীজগুলো যে করা হচ্ছে সেখানে একটি গাড়ি কতটুকু মাল নিতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া দরকার। না হলে ব্রীজগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি এ সময় অতিরিক্ত ভারী যান পারাপারে ব্রীজের পরিবর্তে ফেরী ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিকল্প ফেরী সার্ভিসতো চালু থাকছেই,বেশি ভারী যানবাহন বা যেসব যানবাহনে অপচনশীল খাদ্য দ্রব্য রয়েছে সেগুলো ফেরী দিয়ে পারাপার করা যেতে পারে।’ তিনি ভাষণে জাাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপান সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে এবং যুদ্ধ বিধ্বস্থ বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় জাপান সরকারের সর্বত সহযোগিতা আমরা পেয়েছি।’ তিনি বলেন, সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য একটা ভিন্ন অনুভূতি তাদের (জাপানের) আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের ছোট্ট শিশুরা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছিল খাদ্য কেনার জন্য।
তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাপান সফরের প্রসঙ্গ স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা যখন মুক্তিযুদ্ধের পর জাপান যান তখনই জাপানের সরকার পদ্মা এবং যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথা বলেছিল এবং ঐ সময়ই যমুনার ওপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা শুরু হয়। আজকের যেখানে যমুনা নেতু নির্মাণ হয়েছে সেই জায়গাটিও জাপানের সমীক্ষক দলই নির্ধারণ করে দেয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, তাঁর প্রথম জাপান সফরের সময় জাপানের সরকার প্রধানের জানতে আগ্রহ প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে সর্বপ্রথমে রূপসা এবং পম্মা সেতু নির্মাণেই বাংলাদেশ তাদের সহযোগিতা কামনা করেছিল বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, পরবর্তীতে জাপানের সহযোগিতাতেই বাংলাদেশ খুলনা এবং বাগেরহাটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী রূপসা সেতু নির্মাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধ করে দেয়ায় ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জাপান সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমান জায়গায় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য তাঁর সরকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) পুনরায় সমীক্ষার জন্য বলে। তবে, জাপান পুনরায় সমীক্ষা করেও বর্তমানের মুন্সীগঞ্জ থেকে মাওয়া হয়ে জাজিরা পয়েন্ট পর্যন্তই সেতু নির্মাণের মতামত দেয়। যেখানে আজ নিজস্ব অর্থায়নেই আজ বাংলাদেশ পদ্মাসেতু নির্মাণ করছে, বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সোনারগাঁও হোটেল নির্মাণে জাপান সরকারের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন।

মুক্তআলো২৪.কম/১৬মার্চ২০১৯

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত