ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালু করেছে চীনা দূতাবাস     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বিরাজমান তাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে        স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের        বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির        বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি এবং ৫টি সমঝোতা স্মারক সই     
১৬৭৬

রেণু থেকে বঙ্গমাতা:নিভৃত এক অসাধারণ যাত্রা:ডা.নুজহাত চৌধুরী

ডা. নুজহাত চৌধুরী

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

ডা.নুজহাত চৌধুরী:
তাঁর জীবনের শুরুটা খুব সুখকর ছিল না। তিন বছর বয়সে বাবা আর পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে যান জীবনের শুরুতেই। আর নিয়তি এটাই ঠিক করে রেখেছিল যে জীবনের শুরুর মতো শেষটাও তাঁর সুখকর হবে না। এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে একসঙ্গে হারিয়ে যাবেন পুরো পরিবার নিয়ে। মাঝের যে অনতিদীর্ঘ জীবন—সেটাও ছিল কষ্টের, সংগ্রামের। দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের উথালপাথাল ঢেউয়ে জীবনতরির বেশির ভাগ সময়ই তাঁর কেটেছে অনিশ্চয়তায়। এ সব কিছুর মধ্যেই নীরবে নিজ গুণে তিনি ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছেন স্বর্ণাক্ষরে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে শুধু নয়, জাতির জীবনে তাঁর নিজের অবদানের জন্য ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন—এই বিষয়টা প্রায়ই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

জীবনসঙ্গীর রাজনৈতিকজীবনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই তাঁর সংসার করা। জেল, জুলুম, ফাঁসিকাষ্ঠের আসামি থেকে মন্ত্রিত্ব, দেশের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব ও দায়—সব কিছুর ভেতর তিনি নিজে ছিলেন শান্ত, স্থির, কিন্তু ইস্পাতের মতো দৃঢ়। সঙ্গে ছিল তাঁর ক্ষুরধার মেধা ও সততা। জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে তিনি পুরোপুরিভাবে নিজের ভেতর ধারণ করতেন। সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আত্মত্যাগ করার ঔদার্য ও দৃঢ়তা তাঁর ছিল। নির্লোভ হওয়ার কারণে সিসদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে শুধু নিজ সংসারের নয়, সমগ্র জাতির নীরব কাণ্ডারি হয়ে ইতিহাসে নিজ স্থান করে নিতে পেরেছেন তিনি। তিনি রাখতে পেরেছিলেন জাতির ইতিহাসের খুব গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে, ঘটনার মোড় পরিবর্তন করার মতো কিছু দৃঢ় প্রভাব, যা পাল্টে দিয়েছে জাতির ভাগ্য। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজ গুণে, নিজ অবদানে বঙ্গবন্ধুর রেণু থেকে বাঙালি জাতির বঙ্গমাতায় পরিণত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন পুরোটাই ছিল দেশের জন্য সমর্পিত। নিজ জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর সোনার বাংলার জন্য। সেই জীবনের, সেই স্বপ্নের অংশীদার ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। খোকা থেকে মুজিব ভাই হয়ে বঙ্গবন্ধু অথবা জাতির পিতা হওয়ার যাত্রাপথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। খুব অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় সেই পথের প্রতিটি বাঁকের সঙ্গী ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ছাত্রাবস্থা থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে সংযুক্তি। তাঁর অবধারিত অনুষঙ্গ হিসেবে জেল, জুলুম, হুলিয়া। আর দশজন সাধারণ নারীর মতো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় সেই রাজনীতিতে বাধা দেননি বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বরং বঙ্গবন্ধুর সব লেখায় তাঁর রেণুর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে উল্লিখিত আছে দেখতে পাই। ঘর থেকে এই সহযোগিতা যদি না পেতেন অথবা যদি বাধা আসত, তাহলে বঙ্গবন্ধু যেভাবে একনিষ্ঠভাবে দেশের কাজ করে গেছেন, সেটা করা নিশ্চিতভাবে তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য হতো। সে জন্য রেণুকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে, সেটাও নিশ্চিত। বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখেছেন, ‘অনেক সময় আমি দেখেছি যে আমি যখন জেলে চলে গেছি, আমি এক আনা পয়সাও দিয়ে যেতে পারি না আমার ছেলে-মেয়ের কাছে।’ যেকোনো মানুষই অনুধাবন করবে পাঁচ সন্তানের সংসার চালিয়ে নিতে কতটা বেগ পেতে হয়েছে এই মহীয়সী নারীকে। অথচ তিনি কখনো প্রতিবাদ করেননি, বরং ইতিহাসের বাঁকে আমরা দেখেছি, যখন আপসের সুযোগ এসেছে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেগুলো ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বঙ্গবন্ধু তাই লিখেছেন, ‘আমার সংগ্রামে তার দান যথেষ্ট রয়েছে।’ জাতি হিসেবে আমাদেরও আজ সময় এসেছে স্বীকার করার এই মহীয়সী নারীর আত্মত্যাগের কাছে আমাদের ঋণ।

তবে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত আত্মত্যাগের চেয়েও বড় যে অবদানের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানতে হবে তা হলো, আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের কিছু সংকটময় সময়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, যা রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের বাঁক পরিবর্তন করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে সহায়তা করে। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের মুখে যখন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান রাওয়ালপিন্ডিতে গোলটেবিল বৈঠক ডেকে তাতে বঙ্গবন্ধুকে যোগদানের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতা বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে রাজি হলেও বেগম মুজিব রাজি হননি। তাঁর অনুরোধে বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তিতে অসম্মতি জানান। পরে প্রচণ্ড গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার বাধ্য হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নিতে। বঙ্গবন্ধু অন্য সব অভিযুক্তকে নিয়ে বিজয়ীর বেশে বেরিয়ে আসেন কারাগার থেকে। আর তখন থেকেই ‘মুজিব ভাই’ পরিণত হন জাতির অবিসংবাদিত নেতা ‘বঙ্গবন্ধু’-তে। বঙ্গবন্ধুর এই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে বেগম মুজিবের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। আর সবাই অনুধাবন করেন আমাদের ইতিহাসে কী গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা বেগম মুজিব রেখেছেন মঞ্চের নেপথ্যে থেকে, নীরবে।


একই রকম নেপথ্যে দৃঢ় ভূমিকা রাখতে আমরা দেখি ৭ই মার্চের সেই কালজয়ী ভাষণের আগে। এ ক্ষেত্রে তাঁর অল্প দু-একটি কথার প্রভাব বোঝার জন্য সেই সময়ের বহুবিধ সংকট ও টানাপড়েনকে বুঝতে হবে। সাত কোটি মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, বিচ্ছিন্নতাবাদী হওয়ার তকমা পরিহার করার চেষ্টা, দলের মানুষের বহুমুখী চাপ, জনগণের নিরাপত্তা—সব কিছুই সেই সিদ্ধান্তের অনুঘটক ছিল। বিভিন্নজন বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর তখন অনেক জ্বর। সারা দেশ, সারা বিশ্ব ও একটি হিংস্র সেনাবাহিনী তাকিয়ে আছে তাঁর প্রতিটি বাক্যের দিকে। এ সময় বেগম মুজিব তাঁকে আলাদা করে নিয়ে বললেন কারো কথা না শুনে, যে মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন রাজনীতি করেছেন, শুধু তাদের কথা ভেবে নিজের মন যা বলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে। এর পরের সব ইতিহাস তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। সেই কালজয়ী ভাষণ, অনন্যসাধারণ কৌশল আর দিকনির্দেশনার সেই স্বাধীনতার আহ্বান। কোনো লিখিত কাগজ নেই, হৃদয় থেকে উৎসারিত কথাগুচ্ছ অবিসংবাদিত এক নেতার থেকে তাঁর বীর জনগণের প্রতি। একটি ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গেল। পেছনে নীরবে ছিল সেই মহীয়সী নারীর শান্ত, দৃঢ়, সত্য কয়েকটি উচ্চারণ। বেগম মুজিবের এই প্রজ্ঞা, সঠিক সময়ে দৃঢ় সঠিক পরামর্শ বঙ্গবন্ধুকে বারবার সাহায্য করেছে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। দেশের মানুষের প্রতি বেগম মুজিবের ভালোবাসা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তাদের নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার ওপরে স্থান দেওয়ার নির্লোভ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই তাঁকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং তাঁকে দৃঢ়ভাবে অবিচল থাকতে সাহায্য করেছে। আর এই ভালোবাসা, ত্যাগ ও অবদানই তাঁকে পরিণত করেছে আমাদের কাছে বঙ্গমাতায়। এটা তাঁর অর্জন, নিজের কর্মে ও ব্যক্তিত্বে।
১৯৭৫ সালের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে তাঁকে হারিয়ে ফেলার পরও, আজও তাঁর অবদান আমাদের দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাচ্ছে। সেটা হলো মা হিসেবে তাঁর অসাধারণ সাফল্য। দুঃখকষ্ট, সংগ্রাম অথবা সাফল্য, যেকোনো অবস্থায় অবিচল থেকে দৃঢ় হাতে মানুষ করেছেন তাঁর সন্তানদের, যার সুবিধা আজ বাংলাদেশ পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতা, কর্মনিষ্ঠা, সাহস, সততা ও প্রজ্ঞার মধ্য দিয়ে। মাত্র কয়েকটা দিন আগে এই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালনকালে রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াজগতে তাঁর অবদানের কথা জাতি স্মরণ করেছে। আমরা অবাক বিস্ময়ে ভাবি মাত্র ২৬ বছরের জীবনে কত প্রভাব ও অবদান তাঁর ছিল। যদি বঙ্গবন্ধুকন্যাদের জিজ্ঞেস করেন, তাঁদের পরিবারে কার শাসন ও শিক্ষায় তাঁরা বড় হয়েছেন, তাঁরা সর্বদাই বলেন তাঁদের মায়ের কথা। নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার তাঁরা, স্বাভাবিক কিছু গুণ তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন তো বটেই। কিন্তু অসাধারণে সাধারণ থাকা, প্রাচুর্যে নির্লোভ থাকা, কর্মে একনিষ্ঠ থাকা, আদর্শে দৃঢ় ও সৎ থাকার যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য শিক্ষা দিতে হয়, সেই শিক্ষা তাঁরা পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধুকন্যাদের একটু কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য যাঁদের হয়েছে তাঁরা আরেকটি দিক দেখতে পান, যেটা হয়তো বাইরে থেকে ততটা বোঝা যায় না। সেটা হলো মায়ের মতো ভালোবাসা ও মায়ায় ভরা হৃদয়। তাঁর দুই কন্যাই মায়ের মতো, বড় বোনের মতো গভীরভাবে মানুষকে আপন করে নিতে পারেন, ভালোবাসতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর বাসায় গেলে কেউ না খেয়ে কখনো ফেরেনি। আমার মায়ের মতো একজন শহীদ জায়ার বাসায় পৌঁছে যেত বেগম মুজিবের নিজের হাতে তৈরি করা কালিজিরার ভর্তা। আজও আমরা দুই বোনের এই অতিথিপরায়ণ মাতৃরূপ দেখি। দলের কর্মীরা জানেন আপা তাঁদের কত ভালোবাসেন। বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী প্রজন্মের রক্তে তাঁদের মা-বাবার যে গুণাবলি প্রবাহিত হচ্ছে, তার সুবিধাভোগী পুরো দেশ। জানি না, আমরা তা পুরোপুরি অনুধাবন করি কি না। দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে অক্লান্ত পরিশ্রম বঙ্গবন্ধুকন্যা করছেন, আমি আশা করি, একদিন তার যথার্থ মূল্যায়ন আমরা হয়তো করতে পারব। সেদিন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানও হয়তো উচ্চারিত হবে আরো স্পষ্টভাবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক ক্রান্তিকালে টুঙ্গিপাড়ার নিভৃত পল্লীর এক চাপা স্বভাবের শান্ত মেয়ের অসাধারণ ভূমিকা তাঁকে রেণু থেকে পরিণত করেছে বঙ্গমাতায়। আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আবারও বলে যাই তাঁর অবদানের কথা। ‘বঙ্গমাতা’ সম্বোধন আমাদের শ্রদ্ধাবনত যথার্থ উচ্চারণ। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে তাঁর ছায়া চিরকাল রয়ে যাবে ইতিহাসের বুকে। সেই ইতিহাসেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দৃঢ়চেতা, মায়াবী, সৌম্য মূর্তিকে চিরকাল খুঁজে পাবে বাংলার প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

লেখক : ডা.নুজহাত চৌধুরী
শহীদ সন্তান, সহসাধারণ সম্পাদক
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।

 

 

মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
শিল্প-সাহিত্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত