মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়?
ডা. নুজহাত চৌধুরী
মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়? অন্যের মাথা হেঁট করে দিলে কি নিজের মাথার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়?সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।মুক্তআলো২৪.কম পাঠকদের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
মানুষকে অপমান করার মধ্যে কি নিজের সম্মান বৃদ্ধি হয়? অন্যের মাথা হেঁট করে দিলে কি নিজের মাথার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়? বৃদ্ধ একজন মানুষকে অপমান করে তার ছবিও তুলে রাখলেন। এতো কঠিন আপনার ভিতরটা? একদিন কি সব কৃত কর্মের জবাব দিতে হবে না? শেষ বিচারের দিনেও না? সেদিন সৃষ্টিকর্তার সামনে আপনার মাথা কি উঁচু থাকবে? এতো বড় বৈশ্বিক দুর্যোগের সম্মুখে দাঁড়িয়েও যারা আহমিকা ছাড়তে পারে না, তাদের মনুষ্যত্বই নাই। তাদের আমি মানুষই মনে করি না। ভাবছেন কান ধরিয়েছেন যে বৃদ্ধের তাকে অনেক অপমান করে ফেললেন? হায় রে কুশিক্ষিত, অর্বাচীন মেধাবী! গায়ের জোরের ভয়কে সম্মান বলে না। আজ পুরো জাতিকে জিজ্ঞাসা করুন, এই ঘটনায় এই পিতৃসম বৃদ্ধের অমর্যাদা হয়েছে নাকি আপনার শিক্ষা, পরিবারিক পরিচয়কে আপনি জাতির সামনে ভূলুণ্ঠিত করলেন। আপনি আপনার চাকরীর সমগ্র ক্যাডারকে জাতির সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করালেন। প্রশ্ন উঠছে, কি প্রশিক্ষন দেয়া হয় আপনাদের? কোথা থেকে শেখেন এতো আদবের বরখেলাপ? যত বড় টেবিলেই বসেন আর যত টাকার মালিকই হন – আজকের এই ছবিতে কারো যদি অপমান হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে আপনার। সমগ্র জাতি আজ আপনাকে ধিক্কার দিচ্ছে, ছিঃ ছিঃ করছে। সমস্যাটা কোথায় আমাদের? ফলে ফলে গাছ যত ভরে উঠে, ততই গাছ নুয়ে পড়ে। মানুষ যত বড় হয় তার তো তত বিনয়ী হবার কথা। আমাদের সমাজে হয়েছে ঠিক উল্টো। দেশ যাকে যত বেশী দেয়, সে তত দেশকে লুণ্ঠন করে, দেশের মানুষের ক্ষতি করে। তাই জনগণের সেবক রাতের অন্ধকারে তুলে এনে নির্যাতন করে সাংবাদিককে, তাই সরকারী অফিসে গলায় ফাঁস লাগানো পাওয়া যায় নিরপরাধ মানুষকে। এতো অন্যায়, এতো অহমিকা, এতো অনাচার প্রকৃতি বেশী দিন সহ্য করবে না। বিশ্বাস করেন সব হিসাব হবে, সব হিসাব হয়। তাকিয়ে দেখেন চারপাশে – এই বৈশ্বিক মহামারীর দিকে তাকান। কি মনে হয়? প্রকৃতি সব একদিন ফিরিয়ে দেয় না? পৃথিবীটা একটা প্রতিধ্বনি। আমরা যা দিবো তাকে, সে তাই ফিরিয়ে দেবে। পাপ-পুণ্য, স্বর্গ-নরকের হিসাব তো তোলা থাকলো; এই পৃথিবীতেই সব হিসাব হয়। পুরো চিত্রটা আমরা দেখতে পাই না দেখে মানুষ সেটা অনুধাবন করে না। কোথা থেকে কি ভাবে যে বিচার হয়, কে জানে সে কথা? আজকের এই দুর্দিন কি মানুষকে কিছু শেখাচ্ছে না? মহাবিশ্বের এই সমুদ্র সৈকতে দুই মুহূর্তের জন্য মানুষের পদচারনা। সেই যাত্রা পথে প্রকৃতির বুকে এত বিকৃত পদচিহ্ন না রেখে গেলেই কি নয়? হোক তা ব্যক্তি জীবনে অথবা মানবজাতি হিসেবে সামগ্রিকভাবে। এই মহা সঙ্কটের সম্মুখে দাঁড়িয়ে সব মানুষের আজ নিজেকে প্রশ্ন করা প্রয়োজন।
মুক্তআলো২৪.কম
- সময় আর সহিষ্ণুতা,সেক্স
- আপনার একাকীত্ব কাটিয়ে তুলুন কিছু উপায়ে
- সেক্স কি মুক্তি দেবে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে ?
- এই হাতটির ছবি দেখে আমাকে অবশ করে দিয়েছে : ডা.নুজহাত চৌধুরী
- সঙ্গী চিনুন চুম্বনের ধরন দেখে
- চিরযৌবনা রূপসী শ্রীদেবীর রূপের গোপন রহস্য !
- নরম কাপড় চাই গরমে
- বিবাহিত জীবন কি সুখের হয় বিবসনা হয়ে ঘুমালে?
- সোশাল মিডিয়ায় নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করুন কিছু উপায় জেনে।
- বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে আলোতে রাত কাটালে
- ছেলেদের কাছে কিছু রোমান্টিক বিষয় যা মেয়েদের কাছে `অদ্ভুত`
- ঘুম কম হলে যে কারন গুলো মারাত্মক সমস্যা হয়
- ছয় ঘণ্টার কম ঘুমালে শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে
- চোখই বলে দেবে আপনার মনে`‘যৌনাকাঙ্ক্ষা `নাকি `ভালোবাসা`
- সস্ত্রীক করোনা ভাইরাস মুক্ত হলেন অধ্যাপক ডা.উত্তম কুমার বড়ুয়া