ভার্চুয়াল জীবনযাপনের আর ভার্চুয়াল সেক্স দিকে ছুটছে মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
ভার্চুয়াল জীবনযাপনের আর ভার্চুয়াল সেক্স
প্রথমবারের মতো ডেটিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুললেন ৩৫ বছর বয়সী জেন । প্রথম প্রথম এখানে দারুণ লাগছিল। কিন্তু কিছু মেসেজ বা অন্যদের পাঠানো ছবির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না তিনি। অনেকে ডেটিং করতে চান। আবার অনেকে তাঁর অশ্লীল কিছু পাঠিয় দেন ইত্যাদি। একটা পর্যয়ে জেন যৌনতাপূর্ণ এসব মেসেজ এবং ছবির সঙ্গে মানিয়ে নিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক পুরুষের সঙ্গে ডেটিং হলো তাঁর, হলো হালকা-পাতলা এবং গভীর দৈহিক সম্পর্ক।জেন কিন্তু অবিবাহিত নন। সাত বছর হয়েছে তার সংসার জীবনের। কিন্তু তাঁর স্বামী তাঁর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এবং জেনেরও একটা সময় থেকে আর আগ্রহ নেই। তাই অনলাইন ডেটিংয়ে ঢুঁ মারেন তিনি। তাঁর বাবা যখন একপর্যায়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন, তখন এমনিতেই সংসারের প্রতি বিতৃষ্ণা আসে তাঁর। কিন্তু নতুন স্বপ্ন দেখেন নিজেকে নিয়ে। তবুও একই পরিণতি। তাই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যাপরটিকে নিয়েছেন জেন।`ঠিক এমনই অসংখ্য মানুষের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ও ঘটনার ফলাফল জন্ম দিয়েছে অনলাইন ডেটিং সাইটের বিশাল সফলতার`, জানালেন অ্যাশলে মেডিসন নামের একটি ডেটিং সাইটের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাশলে মেডিসন। এসব সাইটের কল্যাণে এখন থেকে আর একাকিত্ব বোধ করেন না কোনো মানুষ। জেনের মতে, আর যাই হোক প্রযুক্তি মানুষের যৌনতা এবং সম্পর্কের গতানুগতিক পদ্ধতি-সংস্কৃতিকে ভেঙে দিচ্ছে। কিন্তু গতানুগতিক সম্পর্কের সমস্যাগুলোর মনের মতো সমাধান মিলছে অনলাইনে। একসময়ের একাকী জেন একজনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হন। তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গুটিকয়েক হলেও লাঞ্চ, ডিনার বা শপিংয়ের জন্য অহরহ দেখা করতেন। সুন্দর সময় কিভাবে যেন চলে যেত।আর এসব অভিজ্ঞতা পেয়েছেন অসংখ্য মানুষ।অনলাইনের মাধ্যমে যাকে কখনো দেখেননি তার সঙ্গে কয়েক দিনের ডেটিংয়ের পর সেক্স করছেন। কিন্তু প্রযুক্তি যেখাভে এগোচ্ছে, তাতে প্রশ্ন জাগে ভবিষ্যৎ কী এমন হতে পারে যে দেখা না করেও সেক্স করা যাবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভার্চুয়াল জিনিসপত্র। সদস্যপদ কিনে তারপর এসব সুবিধা নিতে পারবেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল সঙ্গী বা সঙ্গিনী পেতে পারেন যে কেউ। সে আপনার সঙ্গে বিছানার সঙ্গী হবে।রেড লাইট সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব মানবিক বিষয়গুলোকে ভার্চুয়ালে রূপ দিচ্ছেন। এখানে ভার্চুয়াল বিয়ে হচ্ছে, মানুষ ভার্চুয়াল সেক্স করছে। একটি কাজই শুধু আপনাকে করতে হবে, তা হলো একজন ভার্চুয়াল সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করতে হবে।মোজোউইজো, লাভপালজ এবং রিয়েল টাচ এনেছে `টেলিডিলডোনিকস` নামের প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তির যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে একেবারে নারী যৌনাঙ্গের মতো ডিজিটাল অঙ্গ। এগুলো এমনভাবে কাজ করবে, মনে হবে আপনি একজন নারীর সঙ্গেই যৌনতা করছেন।তবুও মানুষের মানবিক আবেদনগুলো তো থাকবেই। আবার থাকলেও সমস্যার শেষ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানবিক বিষয়গুলোকে যারা ধ্বংসাত্মক ও অশান্তিকর বলে মনে করছেন, তারাই ছুটছেন ভার্চুয়াল জগতে। তাই এ দুনিয়া বেড়ে চলেছে তুমুল বেগে। সূত্র : গার্ডিয়ান
- ঈদে
“অনলাইনে কেনাকাটার নতুন দিগন্ত নক্ষত্র ই-কমার্স” - স্তন ক্যান্সারের কি ঝুঁকি রয়েছে রাতে ঘুমানোর সময় ব্রেসিয়ার পরায়?
- অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াকে বলা হয় ‘বদলে দেওয়ার নায়ক’
- আজ পয়লা ফাল্গুন
- সমুদ্রজয় ১৯,৪৬৭ বর্গকিমি
- মস্তিষ্ক সুস্থ ও ভালো রাখার কিছু উপায় !
- ‘মাটমাটা’ গুহাবাড়ির শহর
- তরুনদের যথাযথ দক্ষতা বিকাশের প্রত্যয় নিয়ে ‘যুব শক্তি এবং সংযোগ’
- ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টনের সমাবেশে অসহযোগের ডাকদিলেন বঙ্গবন্ধু
- মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় ছেলেরা যে কারণে
- আকর্ষণীয় ফিচার আইফোন ৬ ও ৬ প্লাসের
- প্রতিদিনের সাধারণ কাজের তালিকা সফল ব্যক্তিদের
- এক অদেখা চিত্র মহাকাশের
- মিস এশিয়া প্যাসিফিক মুকুট নিয়ে পালালেন!
- চিতা যখন খেলার সঙ্গী ! ভিডিও সহ