ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
হাছান মাহমুদের সাথে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক : ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন : প্রধানমন্ত্রী        আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস        অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী        বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির     
১৩৩৩

`বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য`

অনলাইন

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জাপানের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে,বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন।আজ সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত জাপানের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার নুরিহিকো ইজগোরুর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় করে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডাব্লিউটিও সেল) অমিতাভ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেছী উপস্থিত ছিলেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে চায়। জাপানি বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য স্পেশাল ইকোনমিক জোন করে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। সে সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাপানি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। জাপান বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জাপান বাংলাদেশকে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রদান করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জাপানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জাপান সে দেশের চাহিদার মাত্র অর্ধেক নিজে উৎপাদন করে, অবশিষ্ট পোশাক চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে।
সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক রপ্তানি বাজার বৃদ্ধি এবং রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু তৈরি পোশাকের উপর নির্ভরতা কমিয়ে এর পাশাপাশি সিরামিক, মাছ, চামড়াজাত পণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সেবা খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে উন্নত মানের চামড়া উৎপাদিত হয় আর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চামড়াজাত পণ্য জাপানে রপ্তানি করে থাকে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে চামড়াশিল্পে বিনিয়োগের জন্য জাপানের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে। চামড়া শিল্প স্থাপনের জন্য জাপানের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে।মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন থেকে শুরুকরে আজও রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প কলকারখানায় জাপানের বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বেড়েই চলছে।

আরও পড়ুন
অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত