ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
রাঙ্গামাটির সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে ছয়জন নিহত, আহত-৭      কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর        মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের        থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা     
১৭৩৯

ধর্ষিতা শিক্ষিকা ধর্ষকদের জন্যে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৪   আপডেট: ৮ জুলাই ২০১৪

ধর্ষিত হলেন খোদ শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলার বন্দিদের ক্লাস নিতে এসে । আমেরিকার অ্যরিজোনা রাজ্যের এই ঘটনায় রোশানলে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।অ্যারিজোনার আইম্যানস সংশোধনাগারের মেডোজ ইউনিটে রয়েছে প্রায় ১৩০০ বন্দি। এরা সকলেই ধর্ষণ, শিশুর শ্লীলতাহানি এবং অন্যান্য যৌন অত্যাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।বন্দিদের হাই স্কুল মানের পরীক্ষা নিতে গত ৩০ জানুয়ারি সংশোধনাগারে পৌঁছান ওই শিক্ষিকা। জেলের একটি ঘরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার শেষে অন্য সবাই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও থেকে যায় জেকব হার্ভে নামে এক বন্দি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে গ্লেনডেল শহরের এক নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলায় তাকে দোষী ঘোষণা করে আদালত। ৩০ বছরের বন্দি জীবনের সবে প্রথম বছর কেটেছে তার।ঘর ফাঁকা হওয়ার পর শিক্ষিকাকে শৌচাগারের দরজা খুলে দিতে অনুরোধ করে হার্ভে। তিনি তা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দি। কলমের ডগা দিয়ে তাঁর দেহ ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে সে। এর পর ওই নারীকে ধর্ষণ করে হার্ভে। সাহায্যের জন্য চিত্‍কার করলেও অসহায় নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কোনও জেলরক্ষী। জানা গেছে, ঘরের ভিতরে ছিল না কোনও সিসিটিভি। কাছাকাছি কোথাও কোনো প্রহরীও ছিল না।ধর্ষণের পর নির্যাতিতার সঙ্গে ঘরের ভিতরে থাকা ওয়াকিটকি ব্যবহার করে নিজেই সাহায্য চাওয়ার চেষ্টা করে হার্ভে। কিন্তু টিউনিংয়ে গণ্ডগোল থাকায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযোগ ঘটে না। শেষে হার্ভের অনুমতি নিয়ে সংশোধনাগারের ফোন ব্যবহার করে সাহায্য চান ওই মহিলা।।আইম্যানস সংশোধনাগারের এক প্রাক্তন ডেপুটি ওয়ার্ডেনের মতে, যথেষ্ট সংখ্যক রক্ষীর অভাব এবং নজরদারির গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের আসামিদের জন্য তৈরি বিশেষ কারাগারে এক মহিলা কর্মীকে অরক্ষিত অবস্থায় বন্দিদের সঙ্গে থাকতে দেওয়া এবং তাঁর ধারেকাছে সাহায্য চাওয়ার কোনও ব্যবস্থা বা আড়াল থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর না রাখার কারণে সমালোচনার নিশানায় পড়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।তবে ঘটনা নিয়ে বিশেষ প্রতিক্রিয়া জানায়নি অ্যারিজোনা রাজ্য কারাগার দপ্তর। তাদের মতে, এ ধরণের কাজে এমন ঝুঁকি থাকতেই পারে। অন্য দিকে, রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা শিক্ষিকা। এইসময়

 

আরও পড়ুন
ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত