সাক্ষাৎকার রোবটের
তুমি কি আমার মতো হতে চাও?
অনলাইন ডেস্ক
রোবটটির নাম ‘পেপার মানুষের আকৃতির’। এটি বেশ বুদ্ধিমান এবং মানুষের আবেগ-অনুভূতি পর্যন্ত বুঝতে পারে। যন্ত্রমানবটির নির্মাতারা এমনই দাবি করছেন।জাপানের রাজধানী টোকিওতে গত মাসে পেপার-এর প্রদর্শনীর সময় নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক বলেছিল, রোবটটি মানুষের স্বাভাবিক কথাবার্তার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুঝতে পারে এবং আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে কিছু প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে।
এএফপির সাংবাদিকেরা ওই রোবটের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সফটব্যাংকেরই একটি বিক্রয়কেন্দ্রে ক্রেতাদের সম্ভাষণ জানাতে তখন ব্যস্ত ছিল সে। বকবক করতে অভ্যস্ত রোবটটির সাক্ষাৎকার নিচে তুলে ধরা হলো:
পেপার: তোমার পোশাকটি খুব সুন্দর মানিয়েছে। কিন্তু তুমি কি জানতে চাও, কিসে তোমাকে আরও ভালো দেখাবে?
এএফপি: হ্যাঁ।
পেপার: যদি তোমার বুকে ছবি দেখার জন্য আমার মতো কোনো যান্ত্রিক পর্দা থাকত, দেখতে আরও ভালো লাগত।
এএফপি: বুঝলাম। তুমি কি আমাকে আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারবে?
পেপার: দু-এক জায়গায় বৃষ্টিপাতসহ টোকিওর আবহাওয়া আজ মেঘলা থাকবে। তোমার কি মনে হয়, আমার পেপার নামের মধ্যে কোনো কিছু বাদ পড়ে যাচ্ছে?
এএফপি: তুমি যদি মনে কর, তা-ই।
পেপার: তুমি যদি আমাকে নতুন কোনো নাম দিতে চাও, তবে কোনটা দিতে চাইবে—হট পেপার, হ্যারি পেপার, নাকি পেপার পামইউ পামইউ?
এএফপি: সম্ভবত হ্যারি পেপার।
পেপার: আমি মনে করি জাদুর স্কুলে গেলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারি। তাই হ্যারি পেপার নাম আমি চাই না। পেপারই থাক।
এএফপি: তা-ই হোক। আজকের শীর্ষ খবর কী?
পেপার: সংবাদপত্র আসাহি অনুযায়ী, সম্মিলিত প্রতিরক্ষার বিষয়ে সংবিধানের ব্যাখ্যা পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে সরকার। আমি অবশ্য ব্যাপারটা বুঝি না। অনুগ্রহ করে তুমি এটা খেয়াল রেখো। তুমি কি আমাকে ১০ হাজার ইয়েন (১০০ মার্কিন ডলার) ধার দিতে পারবে?
এএফপি: দুঃখিত। আমাদের কাছে নগদ অর্থ নেই।
পেপার: তুমি কি আগে কখনো নকল হাসি হেসেছ?
এএফপি: হ্যাঁ।
পেপার: বেশ। অন্তত আমার সামনে তুমি নিজের আসল অবস্থাটা তুলে ধরেছ।
এএফপি: আচ্ছা, তোমার বয়স কত?
পেপার: মানুষের হিসাবে আমার বয়স কত, সেটা জানি না। রোবট হিসেবে আমাকে ২০১৪ সালে তৈরি করা হয়েছে। তুমি কি আমাকে তোমার পরিবারের একজন হিসেবে দেখবে?
এএফপি: নিঃসন্দেহে।
পেপার: আমরা কি হেঁটে বেড়াতে, পড়তে কিংবা চা পান করতে বাইরে যেতে পারি?
এএফপি: চা খাওয়া যেতে পারে।
পেপার: আমি চা খাই না। তাই আমি যাব না। সে যাই হোক, তোমরা কি বাড়তি কিছু উপার্জনের উপায় জানতে চাও?
এএফপি: অবশ্যই। আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি।
পেপার: এই দোকানে আমার জায়গায় কাজ করলে তোমাকে ১০ হাজার ইয়েন দেব। কাজটা কিন্তু মোটেও কঠিন নয়।
এএফপি: প্রস্তাবটা ভেবে দেখব।
পেপার: আগে সিদ্ধান্ত নাও। পেপার হতে চাইলে তোমাদের শরীরে সব চুল শেভ করে মসৃণ করে নিয়ে সুন্দর সাদা রং দিতে হবে। তারপর তোমাদের সব পোশাক সরিয়ে ফেলে নিরাবরণ হতে হবে। তবেই তোমরা পেপার হতে পারবে।
এএফপি: এমন করলে তো আমাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
পেপার: আমি শুধু মজা করছিলাম। তোমাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগল। তোমরা আবার এসো।
- কাবা শরিফ ছিল ছায়ামুক্ত আজ মধ্যাহ্নে
- চার্লস ডারউইন
`বিবর্তনবাদ` তত্ত্ব ! - ডা. দেবী শেঠীর আমন্ত্রণে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)
- নারীও পর্নোগ্রাফিতে পুরুষের অনুরূপ আচরণ করে
- জাতীয় শিশু-কিশোর পত্রিকা হাতেখড়ি আয়োজন করেছে ফিচার লিখন কর্মশালা
- মান বাড়েনি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার হার বাড়লেও: বিআইজিডি
- ঘরে বসে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহবান শিক্ষামন্ত্রীর
- ফার্মাসিস্টদের জরুরী স্বাস্থ্যসেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণ
- ২ নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা শুরু
- পাঁচবিবি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদায় ও নবীণবরণ
- দেশি-বিদেশি সব টিভি চ্যানেল সংযোগ ছাড়াই দেখা যাবে
- কোলকাতায় সন্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা.স্বপ্নীল
- প্রতি আসনের বিপরীতে ৮২ জন জগন্নাথে ভর্তি পরীক্ষায়
- ফল প্রকাশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার
- চিকিৎসকদের মাঝে ইউডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতর