ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালু করেছে চীনা দূতাবাস     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী        বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী     
২৪৫

চিরনিদ্রায় শায়িত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১  

চিরনিদ্রায় শায়িত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর

চিরনিদ্রায় শায়িত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর


রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। আজ বাদ যোহর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে সকাল ১১টা খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদ মাঠে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফকির আলমগীরের মরদেহ নেয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু হয়। সেখানে তাকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য রাখা হয়।

সেখানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ জুমবৃষ্টি উপেক্ষা করে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।  
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে সদ্য ফকির আলমগীরের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুগ্মসচিব অসীম কুমার দে ও উপসচিব আ. স. ম. হাসান আল আমিন। 

শুক্রবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে মারা যান দেশ বরেণ্য এই গণসংগীতশিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ফকির আলমগীরের গাওয়া ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর। এ ছাড়া তার গাওয়া ‘সান্তাহার জংশনে দেখা’,  ‘বনমালী তুমি’ ‘ কালো কালো মানুষের দেশে’, মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘আহারে কাল্লু মাতব্বর’, ‘ও জুলেখা’সহ বেশ   কিছু গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। 

তিনি বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি, জনসংযোগ সমিতির সদস্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়। এ ছাড়াও তিনি ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’ লাভ করেন।  




 


মুক্তআলো২৪.কম

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত