ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Breaking:
ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালু করেছে চীনা দূতাবাস     
Mukto Alo24 :: মুক্ত আলোর পথে সত্যের সন্ধানে
সর্বশেষ:
  স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী        বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী     
৫৫৮

কাউনিয়ায় সোনালী আঁশ পাট জাক দিতে পাচ্ছে না কৃষক

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১  


সারওয়ার আলম মুকুল,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ ভরা বর্ষা মৌসুমে খাল বিলে পানি না থাকায় বাংলার সোনালী আঁশ, এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে রংপুরের কাউনিয়ার কৃষকের। অর্থনীতিতে ভূমিকা পালনকারী পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। সোনালী ফসল পাট ঘরে না তুলতে পাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ কৃষক এ বছর আলু উঠানোর পর পাট বুনেছে। বিশেষ করে তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে পাটের চাষ হয়েছে বেশী। বর্তমানে পাট কাটার মৌসুম হলেও পানির অভাবে কৃষকের মাথায় বাজ পড়েছে। কৃষক জমি থেকে পাট কেটে রাস্তার ধারে, জমিতে ফেলে রেখেছে। অনেকের পাট শুকিয়ে খড়ি হয়ে যাচ্ছে। অনেক কৃষক এখনও পাট কাটে নি। হলদীবাড়ি রেলগেট এলাকার কৃষক আফজাল হোসেন জানান, পানির আভাবে তারা পাট কেটে জাক দিতে পাচ্ছে না। পানি না থাকার কারনে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। যে সব কৃষক জমিতে অল্প পানিতে পাট জাক দিয়েছিল তাদের এখন মাথায় হাত। 
উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ পারভীন জানান চলতি মৌসুমে তোষা জাতের পাট চাষ হয়েছে ৮৯০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টরে ১১.১৩ বেল (১বেল=১৮৭ কেজি)। বিগত সময়ে কৃষি বিভাগ থেকে ১৫৫টি রিবোন রেটিং মেশিন বিতরন করা হয়েছে। কিন্তু পাট পচাতে নাপারায় উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। টেপামধুপুর ইউনিয়নের কৃষক দুদু মিয়া ও কোরবান আলী জানায় গত বছর পাটের বাজার ভাল পাওয়ায় বেশী করে পাট চাষ করেছি। যদি পাট পচাতে না পারি তাহলে মাঠে মারা যাবো। কৃষকের কথা কেউ শুনে না। সরকারি ভাবে পাটের মূল্য নির্ধারন করে পাট ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে এলাকার কৃষক লাভবান হবে। রংপুর জেলার মধ্যে কাউনিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশী পাট উৎপাদন হয়। পাট ভাল মতো পানিতে পচাতে না পরলে পাটের মান ভাল হবে না এবং দামও পাবে না কৃষক। উপজেলায় যে সব সরকারী বে-সরকারী খাল বিল এবং বাধের রাস্তার নালা রয়েছে সে গুলোতে মাছ চাষ করায় সেখানে পাট জাক দিতে পাচ্ছে না। এ ছাড়াও উপজেলার বেশীর ভাগ খাল ডোবা নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা নেই। অনেকে জমি থেকে পাট ভ্যান, পাওয়ার ট্রলিতে করে এনে যেখানে পানি আছে সেখানে পাট জাক দেয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেশী পড়ছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকলে রিবোন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ ছাড়ানো জন্য কয়েক জন কৃষক কে কৃষি বিভাগ যন্ত্রটি সরবরাহ করলেও কৃষক এ পদ্ধতি অবল্বনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। এ ছাড়া পাট উন্নয়ন দপ্তর থেকে তাদের উৎসাহিত করারও কোন ব্যবস্থা করা হয় নি। এবছর পাটের ফলন ভাল হয়েছে, কিন্তু পানির অভাবে সেই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে না পারার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

 

 

 

মুক্তআলো২৪.কম
 

আরও পড়ুন
জেলা খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত