কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার এর-

কিছু কথা না বললেই নয়...(০৬)

ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ আব্দুস সাত্তার

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:২২ এএম, ২৫ জুন ২০১৪ বুধবার | আপডেট: ০৮:৫২ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৪ বৃহস্পতিবার

আমি আজ যার কথা লিখতে যাচ্ছি তিনি আপনাদের সবার প্রিয় খ্যাতিমান  শিশু সাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন। মূলত ছড়াকার হিসাবেই তিনি সুপরিচিত। তিনি পরিবারসহ প্রবাসে( কানাডা) থাকেন। অনেক বছর যাবত আমি উনার এফবি বন্ধু হিসাবে আছি। বাস্তবে কোনদিন দেখা হয়নি।

রিটন ভাইয়ের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। আর এই লেখার জন্য তিনি, সিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, ১৯৯৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ১৯৮৪, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৭ সহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

 বাংলা একাডেমীর অমর একুশে বইমেলায় তিনি প্রতি বছর যান। আমরা প্রবাসে বসে উনার প্রতি দিনের বই পরিচিতি ও লেখকদের সাথে আলাপচারিতা দেখে মুগ্ধ হই। রিটন ভাই না থাকলে এই প্রোগ্রামটা হতো কিনা সন্দেহ আছে। উনার পরিচিতি দেখে এবার টিকেট ও করে ফেলেছিলাম বইমেলায় যাবার জন্য কিন্ত বিজনেসের কাজে আর যাওয়া হলো না। মনটা অনেক খারাপ করে প্রতিদিন রিটন ভাইয়ের বই পরিচিতি দেখতাম আর ভাবতাম আমার বইটা যদি একটু পরিচয় করিয়ে দিত! প্রতিদিনই হতাশ হতে লাগলাম। হঠাত একদিন রিটন ভাই কিছুক্ষন পরিচিতি করার পর মাযহার ভাইকে দিলেন আরও কিছু নতুন বইয়ের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। ওমা! দেখি আমার " জোছনা আসে ফিরে" কাব্যগ্রন্থটি ও পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর এফবিতে মাযহার ভাই ও রিটন ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম।

আমি আশা করেছি হয়ত আগামী বইমেলায় রিটন ভাইয়ের সাথে দেখা হবে। বিধাতা কখন কি করেন তা বুঝা অনেক মুশকিল! তিনি গত ১৩,১৪,১৫ জুন ২০১৪ আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে চলে আসলেন নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলায়। আর আমিও সেই মেলায় পাঠক হয়ে হাজির। দেখা হতেই সালাম দোয়া। তারপর আমার  "জোছনা` নিয়ে কিছু কথা বলতেই তিনি বললেনঃ

 -আপনার বইটি তো পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বইমেলায় তাই না?

- জি দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু বইটি তো আপনাকে দেওয়া হয়নি। আজ দিতে চাই।

-আপনি না বললেও আমি চেয়ে নিতাম বইটি।

-বইটি হাতে নিয়ে বললেন আসেন একটা ছবি তুলে রাখি। আবার কবে দেখা হবে।

 

রিটন ভাইয়ের ছড়াগুলো যেমন মিষ্টি তাঁর কথাগুলো ঠিক মিষ্টি। মন চাইছিল আরও কিছুক্ষন কথা বলি। কিন্ত রিটন ভাইয়ের সময়ের অভাবে বেশীক্ষণ কথা বলতে পারিনি।  তারপরও এতো কাজের ফাঁকে আমাকে যেটুকু সময় দিয়েছেন এবং আমার মতো ক্ষুদ্র একজন লেখকের বই নিয়েছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

রিটন ভাই আপনি আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই প্রবাসের মাটিতে ভালো ও সুস্থ থাকুন। এই কামনা করছি। আমীন।