বিএসএমএমইউ-কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সহযোগিতা: কুমিল্লায় ইআরসিপি

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ১২:২৬ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

বিএসএমএমইউ-কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সহযোগিতা: কুমিল্লায় শুরু হলো ইআরসিপি

বিএসএমএমইউ-কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ সহযোগিতা: কুমিল্লায় শুরু হলো ইআরসিপি


গতকাল (১২/০১/২০২৩) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হলো ইআরসিপি। হাসপাতালটির লিভারের বিভাগের বিশেষজ্ঞরা আজ সফলভাবে পিত্তনালীর পাথর ও পিত্তনালীরই ক্যান্সারে আক্রান্ত দুজন রোগীর দেহে সফলভাবে ইআরসিপি সম্পাদন করেন। এই কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন। সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে  এই কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফা কামাল আজাদ । এতে সভাপত্তিত্ব করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং লিভার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ এজাজুল হক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, একই ডিভিশনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক, উপ পরিচালক এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন, সার্জারী, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও এ্যানেসথেসিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগন। 

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহিম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ইআরসিপি আরম্ভ করার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে হেপাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ এজাজুল হক, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহ জামাল, হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফরহাদ আবেদীন ও ডা. আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শফিক সহ অন্যান্য হেপাটোলজিষ্ট ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিষ্ট এই কার্যক্রমে অংশ নেন।  

২০২১ সালের ৭ জুলাই  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক আদেশবলে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনটি প্রতিষ্টিত হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ডিভিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার সিরোসিস ও লিভার ফেইলিউর রোগীদের জন্য স্টেমসেল থেরাপী, প্লাজমা এক্সচেঞ্জ, লিভার ডায়ালাইসিস, হেপাটিক ভেনাস প্রেসার গ্রেডিয়েন্ট, পিত্তনালীর রোগের চিকিৎসায় স্পাইগ্লাস কোলাঞ্জিওস্কোপি আর লিভার ক্যান্সার রোগীদের জন্য রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এব্লেশন ও ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেশনসহ লিভার রোগের বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রসিডিউরগুলো চালু করা এবং এ বিষয়ে গবেষনা করা ছিল এই ডিভিশনটি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য। পাশাপাশি সারা দেশে এ ধরনের চিকিৎসা সুবিধা উপলব্ধ করার জন্য দক্ষ্য জনশক্তি সৃষ্টি এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করাও ছিল ডিভিশনটির অন্যতম ম্যান্ডেট। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডিভিশনটি এসব লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ডিভিশনটির সহযোগীতায় সিলেটে লিভার সিরোসিসের জন্য স্টেমসেল থেরাপী এবং লিভার ক্যান্সারের জন্য ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোএম্বোলাইজেন চালু করা হয়েছে। ডিভিশনের সাথে পরামর্শক্রমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগেও ইতিপূর্বে লিভার সিরোসিসের জন্য সফলভাবে স্টেমসেল থেরাপী করা হয়েছিল। আর আজ শুরু হলো ইআরসিপি। 

উল্লেখ্য পিত্তনালীর ক্যান্সার, পাথর, কৃমিসহ অগ্নাশয়ের নানা রোগের চিকিৎসায় এন্ডোস্কপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিওপ্যানক্রিয়াটোগ্রাফি বা ইআরসিপি একটি অত্যান্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। ঢাকার বাইরে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে সীমিতি পর্যায়ে এতদিন ইআরসিপি হয়ে আসছিল। আজ এই তালিকায় যুক্ত হলো কুমিল্লার নাম। আশা করা যায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইআরসিপি চালু হওয়ার ফলে এই অঞ্চলের মানুষকে এখন থেকে আর এই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছুটতে হবে না। পাশাপাশি এতে এ ধরনের চিকিৎসার খরচও এর অনেক কমে আসবে যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।







মুক্তআলো২৪.কম