কর ব্যবস্থাপনা গণমুখী ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৯:০৯ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের সামগ্রিক কর ব্যবস্থাপনা গণমুখী ও অধিকতর তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে দেবো কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’- শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর 'জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২' পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। 

এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী  দেশের সম্মানিত সকল করদাতা এবং আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং  যাঁরা এ বছর সেরা করদাতা সম্মাননা পাচ্ছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান। এবছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’- অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের রূপকল্পসমূহ বাস্তবায়নে বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অপরিহার্য। করদাতাগণের সার্বিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। 

তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে কর প্রদান, তাৎক্ষণিক ই-টিআইএন প্রদান, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা, চালান, ই-টিডিএস সিস্টেম এবং কর তথ্য-সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কর বিভাগের সঙ্গে সম্মানিত করদাতা, অংশীজন ও নাগরিকদের মেলবন্ধনে দেশে আজ কর সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করদাতা, ব্যবসায়ী এবং জনগণকে সহজ ও অব্যাহত কর সেবা প্রদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি দেশের রাজস্ব-বান্ধব সংস্কৃতি গড়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের সকল কর অফিসসমূহে একযোগে নভেম্বর মাসব্যাপী ‘আয়কর তথ্য সেবা মাস' এর মাধ্যমে কর সেবা প্রদান করা হয়েছে। করদাতাগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করসেবা গ্রহণ ও কর প্রদান করার ফলে রাজস্ব ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।

নতুন করদাতা চিহ্নিতকরণ, সঠিকভাবে প্রযোজ্য কর নিরূপণ এবং করনেট বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পারিক তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন, বিআরটিএ, বিএফআইইউ, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বিডা, বেপজা, আইবাস সফটওয়ার, ডিপিডিসি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের স্বার্থে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ ধরনের সৃজনশীল ও সমন্বিত কাজের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’  প্রধানমন্ত্রী জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।