দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৩০ জন, সুস্থ ১,৯৩৪জন

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার


দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তÍ হয়ে ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৪ জন।

গতকালের চেয়ে আজ ৯ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। গতকাল ২১ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ হাজার ৩০৫ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর হার একই ছিল।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৪১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গতকালও সুস্থতার একই হার ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ হাজার ৫৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৬ হাজার ৪৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ১১১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮২৩ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৯৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ২২৫টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১১৭টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৩১ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৬৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৬২টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৫৯০ দশমিক ৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২০৯৪ দশমিক ৫৯ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩৭ দশমিক ০২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন, আর নারী ৫ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৮৫২ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৪৫৩ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩০ জন; যা দশমিক ৪৮ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৯ জন; যা দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৪৪ জন; যা ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩৩ জন; যা ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭৭০ জন; যা ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৬৫৫ জন; যা ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৩২৪ জন; যা ৫২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৩২১ জন; যা ৫২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২২৭ জন; যা ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৮৪ জন; যা ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৮৪ জন; যা ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২১২ জন; যা ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৬০ জন; যা ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৮৭ জন; যা ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩০ জন; যা ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।

ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৫২৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৬ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৫০৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩০৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২০৬ জন ও শয্যা খালি আছে ১০৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৭০টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৭৬ জন ও শয্যা খালি আছে ৫৯৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৭ জন ও শয্যা খালি আছে ২২টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ১৬৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫২৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৬৩৬টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬৬ জন ও শয্যা খালি আছে ১৪৫টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৪৫৯টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৭২০ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৭৩৯টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৫৯টি, রোগী ভর্তি আছে ২৮৯ জন এবং খালি আছে ২৭০টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬০২টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬০৪টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৯৫টি।

০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৯৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৪৯৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩১ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৪ জন, সিলেট বিভাগে ৩৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২২৭ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫০ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭২১ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৬৭৬ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২০৫ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৩৬ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১১৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৮৪৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ২৬৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৮১৪ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১২ লাখ ৫ হাজার ৪১০ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৯৭টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ফোন এসেছে ৩৭ হাজার ৮৮৮টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৩৫টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ২২০টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৪২৪টি।

কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ২ হাজার ৪৬৯ জন, এবং এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১৫ জন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৩ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৯০৭ জন এবং ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।বাসস


 


মুক্তআলো২৪.কম