দেশে মূলধারার গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সচেষ্ট:তথ্যমন্ত্রী

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ


তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘দেশে মূলধারার গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সচেষ্ট ।

গণমাধ্যম শুধুমাত্র মতপ্রকাশই নয়, সমাজের দর্পণ হিসেবে, মানুষের মনন তৈরিতে, সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করে জাতিকে প্রত্যয়ী করতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ গণমাধ্যমের সাথে কিছুটা সময় প্রতিদিন ব্যয় করে, সুতরাং জাতি গঠনের জন্য এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম-বিএসআরএফ আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’-এ একথা বলেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

ড, হাছান মাহমুদ বলেন স্বপ্নহীন মানুষের যেমন স্বপ্নপূরণের তাগাদা থাকে না, তেমনি আশাহীন জাতিরও আশাপূ রণের তাগাদা থাকে না। আর সেই স্বপ্ন দেখানোর কাজটি গণমাধ্যম করতে পারে এবং করে। “আমাদের মূলধারার গণমাধ্যম সেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনলাইনে কিছু ভুঁইফোড় পোর্টাল, যেগুলো মূলধারার নয়, সেগুলোর কারণে অনেক সময় বিভ্রান্তি হয়” বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আজ বিশ্ববাস্তবতা। এটি মানুষের সাথে মানুষকে সংযুক্ত করা ও হারিয়ে যাওয়া মানুষকে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। একজন মানুষ এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছুতে পারে। এটি ভাল দিক, কিন্তু ঠিক ব্যবহার করা না হলে খারাপ দিকও অনেক। আজকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিও তৈরি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এটিও শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বব্যাপী বাস্তবতা।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে সংবাদ মাধ্যম নয়- ব্যাখ্যাা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকেই মনে করে ফেইসবুকে দেয়া তথ্যই বুঝি সংবাদ, আসলে সেটি সংবাদ নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি আনএডিটেড (অসম্পাদিত) প্লাট ফর্ম। সে কারণে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীব্যাপী এটিকে নিয়মনীতির মধ্যে আনার জন্য আইন তৈরি হয়েছে, আমরাও করছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা হয়। করোনাকালে শুরুতে সেই অপচেষ্টা ছিল। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যম সেটি করতে দেয়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যম অর্থাৎ আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের বিকাশের লক্ষ্যে সবসময় বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘উপমহাদেশের অন্য দেশে সাংবাদিকদের জন্য করোনাকালীন বিশেষ সহায়তা দেয়া হয়নি। ভারতে করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, শুধুমাত্র তাদেরকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রয়োজনমাফিক সাংবাদিকদের সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশের সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবেছেন, সবার কথা ভেবেছেন।’

অনলাইন গণমাধ্যম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, অনলাইন নিবন্ধনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কয়েকটি অনলাইনকে নিবন্ধনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছি, আরও দেয়া হবে। তবে যেহেতু কয়েক হাজার অনলাইন, এটি সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। কারণ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট দেয়ার পরই তা দেয়া হয়। আর এ নিবন্ধন কাজ চলমান প্রক্রিয়া, কারণ অনলাইন ভবিষ্যতেও তো অনেকগুলো প্রকাশিত হবে।

আইপিটিভি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আইপিটিভি নিবন্ধনের জন্যও দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিলো। সেগুলোর প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে, যা সম্পন্নের পর নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইপিটিভিগুলো শুরুতে বিনোদন চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। কোনা টেলিভিশন চ্যানেল যখন অনুমতি পায়, শুরুতে সংবাদ পরিবেশনের অনুমতি পায় না। সেজন্য আবার দরখাস্ত করতে হয়। আইপিটিভির ক্ষেত্রেও তাই।’

সচিবালয়ে সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত সাংবাদিকদের কল্যাণে বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের কয়েকটি প্রস্তাবনা সুবিবেচনার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। বিএসআরএফ এর সহ-সভাপতি সাজেদা পারভীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মাসউদুল হক, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা, গবেষণা সম্পাদক নিয়ামুল আজিজ সাদেক, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।বাসস



 

মুক্তআলো২৪.কম