দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ২৪ জন, সুস্থ ১,৪৯৫জন

মুক্তআলো২৪.কম

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২০ রোববার

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ২৪ জন, সুস্থ ১,৪৯৫জন

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ২৪ জন, সুস্থ ১,৪৯৫জন


দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৫ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ১ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ২৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৫২৪ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ৭ অক্টোবর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।


আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৫ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৪২ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৬০ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ৯ হাজার ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ১৯৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১০ হাজার ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২২৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫০৪ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৬৭৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ১৬৯ টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ৪৬৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১০ হাজার ৮৫৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৩৯২টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২,২২১ দশমিক ০৯ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১,৭১৯ দশমিক ৬১ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩২ দশমিক ৪৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, আর নারী ৫ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ২৫৬ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ২৬৮ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৭ দশমিক ০৫ শতাংশ; নারী ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৩ জন হাসপাতালে এবং বাসায় ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৭ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৬ জন; যা দশমিক ৪৭ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৫ জন; যা দশমিক ৮১ শতাংশ। ২১ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১২৪ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩০৭ জন; যা ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬৯৯ জন; যা ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮২ জন; যা ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৮৪১ জন; যা ৫১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ২ জন করে, সিলেট রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন করে। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৭ জন; যা ৫০ দশমিক ৮১ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১১৩ জন; যা ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৫৯ জন; যা ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৪৯ জন; যা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৯৩ জন; যা ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৩৬ জন; যা ৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৫১ জন; যা ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৬ জন; যা ২ দশমিক ১০ শতাংশ।

ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৩১ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৭৮৮টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৪টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৬৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১৪৫টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৪৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৬৩৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৬ জন ও শয্যা খালি আছে ২৩টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৭০ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৮১৬টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১৪২টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১ হাজার ৬৮৭টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৪৫০ জন এবং শয্যা খালি আছে ৯ হাজার ২৩৭টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৬৪টি, রোগী ভর্তি আছে ২৫৪ জন এবং খালি আছে ৩১০টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৮৭টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৫৩৯টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৪৪টি।

০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।

গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৪৯৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬০৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভাগে ১৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৪ জন, সিলেট বিভাগে ৫৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৪১ জন সুস্থ হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১০৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪৬৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ১৪৫ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৭০ হাজার ২৬২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৮৮৩ জন।

গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫২৯ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৫৬ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪১ হাজার ২৬৩ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৪৩৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৮২৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২২২টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ১৬৯টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৩১টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২২২টি।

এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ২৮০ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬০৫ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৮৯৪ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৮৮ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৩২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৫ জন এবং ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।বাসস

 

 

 

 

মুক্তআলো২৪.কম