গ্রেপ্তার হলো লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ

অনলাইন

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ১৭ মে ২০১৪ শনিবার | আপডেট: ১০:১১ পিএম, ১৭ মে ২০১৪ শনিবার

লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ

লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ

সেনাবাহিনীর বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত র্যাব-১১ এর সাবেক দুই কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত । আজ শনিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রধান খন্দকার মুহিদ উদ্দীন গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রধান খন্দকার মুহিদ উদ্দীন জানান, নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম আজ শনিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের লগ এরিয়া থেকে মিলিটারি পুলিশের মাধ্যমে ওই দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে তাদের হেফাজতে নেন। এর পরই তাদেরকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।অভিযোগ ওঠা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও র‌্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে পাওয়া যায়নি। র‌্যাব-১১ এর সাবেক তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠার পর এই তিন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়। ৬ মে সেনাবাহিনীর দুজনকে অকালীন ও নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।ওই নির্দেশের পর পর ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে প্রতিরক্ষাসচিবকে চিঠি পাঠায়। ১৫ মে সেনা সদরের জিএজি বিভাগ থেকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উল্লেখ করা যাচ্ছে যে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদ্বয় সম্পর্কে দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার। ৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।