বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে,আমার প্রত্যাশা

রাজনৈতিক প্রবন্ধ:এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

 

এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপিঃ"বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এই দুটি অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হলো।'
বঙ্গবন্ধু ,তার সারাটা জীবন দিয়ে ,বাঙালি জাতিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন, সে স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই ছিল না, সে স্বপ্ন, বাস্তবায়নের জন্য, তিনি তার সারা জীবন কষ্ট করেছেন, জীবনের দীর্ঘ তেইস বছর জেল খেটেছেন, যে ত্যাগ তিনি স্বীকার করেছেন,কোন রক্ত চক্ষুর কাছে মাথা নত করেননি, কোনদিন।

সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে," মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ইতিহাস সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মকে," মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলবার জন্যই', বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন। আমাদের মহান নেত্রী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রক্তের যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনার সরকার এই অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছেন।
সারা বাংলাদেশেই নয় শুধু, সারা পৃথিবীর মানুষ এই জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন এর শরিক হয়েছেন। সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক তারাও এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে,লন্ডন-দিল্লি হয়ে ১০জানুয়ারি,১৯৭২ সালে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাই সে মহেন্দ্রক্ষণ কে, প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবার প্রয়াসে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার দিনক্ষণে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করার উৎসবের আয়োজনের মধ্য দিয়ে, আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব এই বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ।আর এখন থেকেই আমরা প্রতিটি মুহুর্ত-প্রতিটি ঘন্টা প্রতিদিন গণনা করছি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য।

এই জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের মধ্য দিয়ে, জাতিকে, নতুন প্রজন্মকে, বাঙালি জাতিকে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে, জঙ্গী সন্ত্রাসী মাদক মুক্ত, বাঙালি জাতি গঠনে, বঙ্গবন্ধু ইপ্সিত সোনার বাংলা বিনির্মাণে, যে মহাযাত্রা, এই মহা যাত্রায় নতুন প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করানোর লক্ষ্যে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ধাবমান গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের একটি প্রত্যাশা, আমাদের দায়িত্ব, নতুন প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করার উদ্দেশ্যেই, আমাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের একমাত্র লক্ষ্য।কারণ নতুন প্রজন্মই হবে এই দেশকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। "বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ভিত্তিক', বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিশ্বে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে চলবার যে ব্রত",সে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন।"

আমি আশা করি ,নতুন প্রজন্ম ,বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস জানবে। 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা জানতে পারবে। এবং বঙ্গবন্ধু যে সাহসিকতার সাথে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে কখনোই কার্পণ্য করেন নাই।'
"সেই ইতিহাস জানার মধ্যে দিয়ে, নতুন প্রজন্মকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের, উপযুক্ত মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই এই কর্মসূচির আয়োজন এর মূল লক্ষ্য।"

'এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, মানবতার জননী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।'

বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিশ্ব শান্তির, শান্তির বিশ্ব তৈরীর জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, অকুতোভয় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে দেশের শত্রু বাইরের শত্রু, কখনোই বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু,। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
 

রাজনৈতিক প্রবন্ধ,
লেখক:বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।সংসদ সদস্য, ৬৮ পাবনা-১।

মুক্তআলো২৪.কম।