আমি সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না ছাত্রলীগের বোল!

অধ্যাপক ডা.মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)


অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) :বেয়াই, এবার আপনাদের এলাকায় একজন অ্যাডভোকেটকে নমিনেশন দেয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। অসম্ভব ব্রিলিয়ান্ট। ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে’, সত্তরের নির্বাচনের আগে আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরীকে কথাগুলো বলেছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেদিনের সেই তরুণ অ্যাডভোকেটের সামনে দু’দিন আগে তার বঙ্গভবনের অফিস কক্ষে বসে মনে পড়ছিল শহীদজায়া শ্যামলি নাসরিন চৌধুরীর মুখে শোনা সেকথা। সেদিনের সেই তরুণ, সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা আজকের বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি। নিবিষ্ট মনে মহামান্য একটি বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছেন। মাওলা ব্রাদার্সের এই প্রকাশনাটি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঢাকার একটি পিকটোরাল ডকুমেন্টারি। পাতা উল্টাচ্ছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ফিরে যাচ্ছেন স্মৃতিময় অতীতে আর মাঝে মাঝে এটা-সেটা শেয়ার করছেন। ৪৮’এ জিন্নাহর ঢাকায় জনসভার একটি ছবি বইটিতে। সেদিনই জিন্নাহ প্রথম ঘোষণা করেছিল উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা। কিন্তু সেদিন প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়েছিল পরদিন, জিন্নাহ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আবারো ঘোষণা করেছিল, ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’। জিন্নাহর মুখের উপর ‘নো, নো’ বলে প্রতিবাদ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ ছাত্র।

বরাবরই এদেশের অধিকার রক্ষার যে কোনো আন্দোলনে সামনে থেকেছে, ৪৮ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ আর তারও পরে আওয়ামী লীগ। বয়সের বিবচেনায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটি। এ জাতির পথ চলায় সব সময়ই আলোর দিশারী এদেশের ছাত্র সমাজ। জাতির প্রতিটি ক্লান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছে তারা। ঠিক যেমনটি এসেছিল আটচল্লিশে জিন্নাহর উদ্ধত উক্তির প্রতিবাদে।


বাঙালির যে হাজার বছরের ইতিহাস তাতে বাঙালির প্রথম স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম বাংলাদেশ আর এর প্রথম স্বাধীন শাসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করেছিলেন তিনি শুধু হাজার বছরের মধ্যেই নন, বরং জাতি হিসেবে বাঙালির ইতিহাস যেদিন থেকে ইতিহাসের পাতায় ঢুকেছে সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আর বাংলাদেশ নামক এমন কালজয়ী কনসেপ্টটি ধারণ করে, একে বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর যে দীর্ঘ পথ চলা তার শুরুতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রথমে ছাত্রলীগ আর তারপর আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস তাই বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে অভিন্ন।


মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামনে বসে যখন এসব সাত-পাঁচ ভাবছি, মনটা কিন্তু তখন খুবই বিষণ্ন। সকালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ থেকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে এসেছি আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীকে। উনপঞ্চাশ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে বাপ্পীর অর্জন কম ছিল না। ছিলেন বাংলাদেশের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, আন্তর্জাতিক ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আর আমাদের মহান জাতীয় সংসদের পরপর দু’মেয়াদের মাননীয় সাংসদ। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাওয়ার পথে বাপ্পীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে চিন্তা করছিলাম ওর সাথে আমার পরিচয়টা প্রথম কবে। সবশেষতো দেখা হয়েছিল জিটিভির স্টুডিওতে অঞ্জন রায়ের টকশোতে, কিন্তু প্রথমটা কবে? সন-তারিখ কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। তবে মনে আছে পরিচয়টা হয়েছিল নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আগে আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল চত্বরে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগেই বাপ্পীর মতো এদেশের আরো অনেক সাংসদ আর জাতীয় নেতার হাতেখড়ি। লম্বা সে তালিকায় না যাওয়াই ভালো। কারণ পূর্ণাঙ্গ তা হবে না কখনই! এতটাই দিয়েছে ছাত্রলীগ এদেশকে।


বাপ্পীর সাথে আমার দেখা হতে পারতো ডিসেম্বররের ২৪ তারিখেও। হয়নি , সম্ভবত অসুস্থতার জন্যই বাপ্পীর প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের জন্মদিনের স্মরণ সভায় আসা হয়ে উঠেনি বলে। বাপ্পীর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা গভীর হয়েছিল এই শাকিল ভাইয়ের কল্যাণেই। ৮৮’তে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করিডোরে পা রাখার পর যে দু’একজনের হাত ধরে আমার ছাত্রলীগে পথ চলা শুরু তাদের অন্যতম অকাল প্রয়াত শাকিল ভাই। তিনি যেবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান হয়েছিল আমার। সেই যে কবে থেকে শাকিল ভাইয়ের সাথে চলার শুরু, হঠাৎ তার ছেদ পড়েছিল আজ থেকে তিনটি বছর আগে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে শাকিল ভাইয়ের সহসা চলে যাওয়ায়। মাহবুবুল হক শাকিল সংসদের উদ্যোগে সেই থেকে প্রতি বছর শাকিল ভাইকে স্মরণ করে ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমিতে যে স্মরণ সভাটির আয়োজনটি করা হয় সেখানে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি থাকে তার লেখা কবিতা আবৃত্তি আর একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবিকে মাহবুবুল হক শাকিল পদক প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা। ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতাকে তার অবর্তমানে তার জন্মদিনে এভাবেই উদযাপন করেন দেশের বরেণ্য সাহিত্যপ্রেমিরা। ছাত্রলীগের শাকিল উদযাপিত হন একজন কবি হিসেবে! প্রতিবার শাকিল ভাইয়ের স্মরণ সভায় যাই, আলোচনা করি আর বসে ভাবি কি অসাধারণ এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ! কতভাবেই না এ দেশেটিকে সমৃদ্ধতর করেছে এই ছাত্র সংগঠনটি।


বঙ্গভবন থেকে সোজা ছুটছি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে। চেম্বারে যখন বসছি ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখ তখন পাল্টানোর পথে। তারপর আবার যখন ফেসবুকে উকি মারছি রাত তখন ভোর হয় হয়। রাতে ল্যাবএইডে ঢুকেই আইসিইউ’তে কলে যেয়ে দেখলাম জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আরেকটি তাজা প্রাণ। সকাল থেকে প্রচণ্ড রক্ত বমি নিয়ে এখন আইসিইউ’র বেডে শুয়ে আছে অল্প বয়সী এক যুবক। বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছে। চোখে বেঁচে থাকার কি প্রচণ্ড আকুতি! রাত তিনটায় এন্ডোসকপি করে তার রক্তবমি বন্ধ করার পর মনটায় প্রচণ্ড স্বস্তি। অভ্যাস বসে তাই ফেসবুকে ঢুঁ মারা।

ঢুকতেই অবশ্য মনটা আরেক দফা খারাপ হয়ে গেল। সময় যে কীভাবে উড়ে যায়! ফেসবুকে অসংখ্য পোস্ট মনে করিয়ে দিচ্ছে আজ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস। এদিন শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, বরং গোটা জাতিকে কাঁদিয়ে ক্যান্সারের কাছে হার মেনেছিলেন কখনো হার না মানা এই সাধা-সিধে মানুষটি। হার মানেননি একাত্তরে, পঁচাত্তরেও না। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডনে বসে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে আমাদের প্রাণপ্রিয় দুই আপার হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন। হারেননি তিনি এক-এগারোর পর বেসামরিক লেবাসধারী সামরিক সরকারের প্রলোভন আর চাপের কাছেও। খুব কাছ থেকে দেখেছি ঢাকায় হেফাজতের তাণ্ডবের দিন তার না’হারা দৃঢ়তা। অবশেষে আজকের এই দিনে ক্যান্সারের কাছে হেরেছিলেন এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা জনতার প্রিয় এই জননেতা।


সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের কথা মনে হতেই মনে পড়লো আওয়ামী লীগের আরো একজন সাধারণ সম্পাদকের কথা। সকালেই দেখেছি তাকে। বাপ্পীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাপ্পীর শেষ দিনটি কখন, কোথায়, কীভাবে কাটবে তা তদারকি শেষে যখন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন মনে পরছিল ক’দিন আগের কথা। এই হাসপাতালেই ক’দিন আগে মৃত্যুকে পরাজিত করেছিলেন ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা। আর এখন অসম্ভব দক্ষতার সাথে হাল ধরে আছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির। মনটা আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসে। যে আওয়ামী লীগের হাতে দেশটাকে তুলে দিয়ে এখন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন ষোল কোটি দেশবাসী, তার একের পর এক জননন্দিত সাধারণ সম্পাদকের রাজনীতির সূতিকাগারতো ঐ ছাত্রলীগই। মনটা আবারো প্রশান্তিতে ভরে উঠে। ফেসবুকিং বন্ধ করে চেম্বারে ফিরে যাই অবশিষ্ট গোটা বিশেক রোগীকে অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর থেকে মুক্তি দিতে।


কাজ শেষে যখন বাসায় ফিরছি ঢাকার রাজপথে তখন প্রায় শুনশান নীরবতা। একেতো শীতের রাত, তার উপর ভালোই কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। নির্জন রাজপথে ছুটছে যখন গাড়ি, আমার তখন আরেকটু ভালো করে আত্মস্থ করার সুযোগ হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চলমান বাংলাদেশের উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ। মনিপুরী পাড়ার সামনের রাস্তার বুক চিরে উঠে আসছে মেট্রো রেলের একের পর এক কলাম। আর বনানীতে বাসার কাছাকাছি আসতে চোখে পড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে গজিয়ে উঠা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কলামগুলোও। এই যে মাত্র পার হয়ে এলাম মহাখালী ফ্লাইওভারটা, শুরুটাতো এটা দিয়েই।


আমার মরহুম পিতা ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের এক সময়কার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট ছিলেন এর নির্মাণের সাথে। খুব কাছ থেকে তাই আমার জানার সুযোগ হয়েছিল এই মহাখালী আর তারপর যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দুটি নির্মাণে সে সময়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এক সময়ে যিনি ছিলেন সময়কার ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি, আর আজকে যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কথা। এই মহিয়সী নারীর হাত ধরেই উন্নয়নের মহাসড়কে আজকের বাংলাদেশ আর আমি বিভোর আমার সুকন্যা-সূর্যের জন্য আগামীর স্বপ্নালু বাংলাদেশের স্বপ্নে।


গাড়ি যখন বাসার গেটে হর্ন দিচ্ছে, আমি তখন দেখছি, ‘আচ্ছা, সবইতো তাহলে ছাত্রলীগ!’ এদেশের যা কিছু ভালো যাদের হাত ধরে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগে দীক্ষা নেননি এমন একজনও কি আছেন! ছাত্রলীগ মানেইতো বাংলাদেশ। হঠাৎ বুঝি কেন এই সংগঠনটিকে বিতর্কিত করায় একদল মানুষের আজকের এত চেষ্টা। ‘ছাত্রলীগ জিতলে জয় হয় মুষ্টিমেয়র, কিন্তু ছাত্রলীগ হারলেতো হেরে যায় বাংলাদেশ’! আর তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়ায় যাদের সব অপচেষ্টা, পঁচাত্তরে যারা মনে করেছিল তারা জিতে গেছে - ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের শেখ হাসিনার’ নেতৃত্বে আর ত্যাগে, ‘ছাত্রলীগেরই বাপ্পী-শাকিল-সৈয়দ আশরাফ-ওবায়দুল কাদেরদের রক্ত-ঘামে’ সেই বাংলাদেশের আজকের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি তাদের তো গাত্রদাহের কারণ হবেই! কাজেই ছাত্রলীগকে হারিয়ে দেয়ায় তারা যে সম্ভাব্য-অসম্ভাব্য সব প্রস্তরখণ্ডই উল্টে-পাল্টে দেখবে তাতে আর অবাকের কি? তবে আমি নিশ্চিত জানি এতে না হারবে ছাত্রলীগ, না হারবে বাংলাদেশ!


মানুষের আড়ালে-আবডালে নিজের ব্যাপারে আমার মূল্যায়ন আমি একজন সংগঠনবাজ মানুষ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট, অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ, ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভার বাংলাদেশ এমনি কত সংগঠনেইতো নাম লেখালাম। নেতৃত্ব দিচ্ছি ইউরোএশিয়ান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন আর সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভারের মতন আর্ন্তাজাতিক সংগঠনেও। পাশাপাশি পেশায় আর গবেষণায়ও চেষ্টা করি সময় দেয়ার। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি ‘আমার প্রিয়তম সাংগঠনিক পরিচয়টি’ যদি জানতে চান তবে তা হলো ‘মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী-ইকবালুর রহিম-মাহবুবুল হক শাকিলের’ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেই কবেকার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদটি। ‘আমি সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না ছাত্রলীগের বোল’!

লেখক : অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

মুক্তআলো২৪কম