প্রার্থীর যে ৮টি প্রশ্ন করা উচিত ইন্টারভিউয়ে প্রশ্নকর্তাদের

অনলাইন

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৭:২৮ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৪ শনিবার | আপডেট: ০৩:১৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ শনিবার

আপনি চাকরিপ্রার্থী এখনো চাকরি পাননি। ইন্টারভিউ দিতে বসামাত্র প্রশ্নের বাণ আপনার দিকে আসতে থাকবে। তবে চাকরিপ্রার্থী শুধু উত্তরদাতাই নন, একটা পর্যায় আসে যখন তারও কিছু প্রশ্ন করতে হয়। ক্যারিয়ারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রার্থীর এসব প্রশ্ন করার মধ্যেও যোগ্যতার আভাস পান চাকরিদাতারা। এমনকি ইন্টারভিউ চলাকালে নিজেকেও প্রশ্ন করার প্রয়োজন পড়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে। এখানে এমন ৮টি প্রশ্ন দেওয়া হলো যা ইন্টারভিউয়ে বসার পর আপনি অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন প্রশ্নকর্তাদের।
*. এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কোন পদ্ধতিতে কাজ শিখছেন? : আপনি নিজের কাজের জন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে চান এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান। আর এ জন্য অবশ্যই ভালো করে কাজ শিখতে চান আপনি। কথাগুলো বললেন ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট আন্দ্রিয়া কে। এ প্রশ্নের মাধ্যমে দক্ষভাবে কাজ করতে চান তা বুঝতে পারবে প্রতিষ্ঠান। এমন কর্মী কে না চান?
*. এখানে কাজ কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়? : প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করে বিভিন্নভাবে। এই প্রশ্ন দ্বারা আসলে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন। তাই প্রশ্নের সঙ্গে নিজের জানতে চাওয়ার বিষয়টি খোলাসা করে বুঝিয়ে দিতে পারেন।
*. তাদের প্রস্তাবগুলো কি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে? : এবার মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করার পালা। প্রতিষ্ঠানের কিছু বিষয় জানার পর তা কি আপনার চাহিদা পূরণ করবে বলে মনে করছেন? `কাম রিকমেন্ডেড` এর প্রেসিডেন্ট আর হাম্যান বলেন, সবকিছু ভালো থাকা সত্ত্বেও যদি চাকরিটি কোনো ভ্যাকেশন প্যাকেজ বলে মনে করেন তবে তা ছেড়ে আসা ভালো। আবার যদি এমন হয় চাকরির প্রস্তাব মনমতো না হলেও সমস্যা নেই, বরং বেশ অর্থের জোগান ঘটবে, তবে সিদ্ধান্ত নিন।
*. আমি কি নতুন কিছু শিখে নিতে পারবো? : এ প্রশ্নটিও নিজের ভাবনায় আসতে হবে। যদি দেখেন চাকরির শর্ত যাই হোক, এখানে কাজ করলে ভবিষ্যতের জন্য বেশ দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারবেন তবে সুযোগ নিতে পারবেন। যে পদে চাকরি পাবেন সেখানে কাজ করতে হলে কি বিশেষ কোনো কোর্স বা প্রোগ্রাম শিখে নিতে পারবেন? এসব চিন্তা করুন।
*. এই পদটি খালি হলো কেন বা আগেরজন কেন চাকরি ছেড়ে দিলেন? : প্রশ্নটি থাকবে চাকরিদাতাদের প্রতি। এ জন্য আগে থেকে খবর নিতে পারলে ভালো হয়। জবজেনি ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা জেনি ফস বলেন, যে খালি পদে আসীন হতে চান যদি তা বিগত কয়েক মাসের মধ্যে কয়েকবার খালি হওয়ার ইতিহাস থাকে তবে চিন্তার বিষয়। আপনার দক্ষতায় সমস্যা না থাকলেও যদি প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কারণে এখানে বেশি দিন না থাকতে পারেন তবে এখানে চাকরির দরকার আছে কি?
*. প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা কেমন? : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক স্ট্যাটাস প্রকাশ করে যা দেখে নেওয়া যায়। তারপরও বহু প্রাইভেট কম্পানি এ বিষয়ে গোপনীয়তা রাখতে পারে। এ জন্য প্রশ্নটি করতে পারনে আপনি। কারণ, কর্মী হিসেবে আপনি আর্থিক দৈন্য-দশায় পতিত কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইবেন না নিশ্চয়ই।
*. এই চাকরি কি আমার আশা পূরণ করবে? : সার্টিফাইড ক্যারিয়ার কোচ হালি ক্রফোর্ড বলেন, যার অধীকে কাজ করবেন তিনি আপনার কাছে থেকে কী কী আশা করবেন এবং আপনি নিজের চেয়ারে বসে কী কী আশা করতে পারেন, তা ভাবতে হবে। আশা পূরণীয় হওয়া নিয়ে ভাবতে হবে আপনার।
*. দক্ষ কর্মীদের সঙ্গে কী আলাপ করা যাবে? : প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে আপনি সেখানকার দক্ষ কর্মীদের সঙ্গ আলাপ করে নেওয়ার অনুমতি চাইতে পারেন। ওখানকার পরিবেশ যদি ভালো থাকে তবে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতেই পারে। ইন্টার্নশিপ ডট কমের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়ার রাইমার বলেন, অনেক আধুনিক প্রতিষ্ঠান শুধু ইন্টারভিউ নয় প্রয়োজনে ভালো কর্মীদের নিতে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখাতেও আগ্রহী থাকে। তাই পরিস্থিতি বুঝে জিজ্ঞাসা করতে পারেন প্রশ্নটি।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার