প্রহরায় প্রিয় বন্ধুর

ফিচার ডেস্ক

মুক্ত আলো

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৪ রোববার | আপডেট: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বৃহস্পতিবার

সেই আদিকাল থেকেই কুকুর মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ও বিশ্বস্ত বন্ধু। এ প্রাণীটি কেবল প্রভু ভক্তই নয়, কখনো-সখনো শিশুদের অভিভাবকও বটে!
বিশেষত বড় আকারের কুকুরগুলোর চোখের দিকে প্রথমবার তাকিয়েই আপনার মনে হতে পারে এর ওপর আস্থা রাখতে পারেন আপনি। পাশাপাশি নিশ্চিন্তেও থাকতে পারেন আপনার চোখের আড়ালে গেলেও শিশুটি নিরাপদে রয়েছে।
আধুনিক মনোচিকিৎসকদের মতে, শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কুকুরকে সঙ্গী হিসেবে পেলে আত্মবিশ্বাসী, দায়িত্বশীলও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে। দেখে শেখার অভ্যাস থেকে শিশুরা একদিকে যেমন দায়িত্বশীল ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, অন্যদিকে সঙ্গী থাকায় শিশুরা কখনও বিষণ্ন হয় না। ফলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।

 

 

কুকুর শিশুদের ততটাই ভালবাসে ঠিক যতটা তার নিজের সন্তানকে ভালোবাসে। বৃহদাকার কুকুরটি শিশুটির সামনে বসে আছে যেন সে নিরাপদে ঘুমাতে পারে।

 

 

 

 


ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুকুরটি শিশুটিকে এমনভাবে ধরে আছে যেন তার নিজেরই সন্তান।

 

 

 

কুকুর একটি শিশুর খুব ভালো শিক্ষক হতে পারে। শিশুরা কুকুরের কাছে থেকে শিখতে পারে খাবার খাওয়ার সময় হা করতে হয়।কুকুরও সব সময় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে। ছবির শিশু এবং বাচ্চাটি একসঙ্গে বড়দিন উদযাপন করছে।

 

 

কুকুর ও মানুষের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দুটি প্রাণীই অন্যকে অল্প সময়ে আপন করে নিতে পারে।

 

কেবল বাড়িতেই নয়, হেমন্তের বিকেলে শিশুদের হাঁটার সঙ্গী হতে পারে এরা।

 

 

পথ প্রদর্শক হিসেবেও এরা বেশ ভালো। পথে গন্ধ শুকতে শুকতে ঠিক শিশুদের বাড়ি নিয়ে আসতে পারে এরা।

 

এটা ভাবার কোনো কারণ নেই এরা আপনার ছোট শিশুটির কোনো ক্ষতি করতে পারে। কেননা সেই শুরু থেকেই সে বিশ্বাস ধরে রেখেছে তারা।
ক্ষেত্র বিশেষে এরা মানুষের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্যশীল। সন্তানের ওপর আপনার রাগ হলেও এরা কখনও ভুলে যায় ‍না শিশুরা বোঝে না, তাই অনেক কিছুই করতে পারে।