যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা চালাবে

অনলাইন ডেস্ক

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ৯ মে ২০১৪ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৪০ পিএম, ২০ মে ২০১৪ মঙ্গলবার

পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারি মুখপাত্র মেরি হার্ফ

পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারি মুখপাত্র মেরি হার্ফ

নতুন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের সহকারি মুখপাত্র মেরি হার্ফ। বাংলাদেশে প্রধান বিরোধীদল ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এই মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফ নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশ সহ সর্বত্র মিডিয়ার স্বাধীনতা সমর্থন করি। এটা এমন একটি ইস্যু যা নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে সব সময় কথা বলছি। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদল, সুশীল সমাজসহ সবারই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আছে। মেরি হার্ফ বলেন, তাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, যে কোন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার। আমরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব কথা বহু বলেছি। সহিংসতার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা এসব বিষয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অব্যাহতভাবে তুলে ধরবো। বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন হলে তাতে প্রধান বিরোধীদল ও সরকারের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসতো- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেরি হার্ফ বলেন, আমরাও তো উত্তেজনা অবসান ঘটুক, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তা-ই চাই।

 বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে হার্ফ বলেন, আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব জায়গায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। গণমাধ্যমের এ বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সরকার, বিরোধীদল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে থাকে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সবারি দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, যেখানেই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে দেখি সেখানেই আমরা তার বিরুদ্ধে কথা বলি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। একই অবস্থান সহিংসতার বিষয়েও। হার্ফ বলেন, নির্বাচনের সময়টাতে আমরা গণমাধ্যমের বিষয়ে অনেক কথা বলেছি। সহিংসতার বিষয়েও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আর যুক্তরাষ্ট্র এই ইস্যুতে সরকারের সাথে সব সময় তাদের অবস্থান তুলে ধরবে।