খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দেব না জিহাদিদের:ওবামা

অনলাইন

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৬:১৩ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৪ রোববার | আপডেট: ১২:২৬ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৪ শুক্রবার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

তিনি সুন্নি জিহাদিদেরকে ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ড নিয়ে একটি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে দেবেন না,মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন। ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের অবস্থানের ওপর মার্কিন বিমান হামলার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মি. ওবামা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কুর্দি শহর ইরবিলকে রক্ষার জন্য এই বিমান হামলা দরকার ছিল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর জঙ্গীদের অগ্রাভিযান ঠেকানোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ নিহিত রয়েছে। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে বলেন যে , সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সম্ভাব্য গণহত্যা ঠেকানোও ওই বিমান হামলার একটি উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া সাপ্তাহিক বেতার ভাষণে বারাক ওবামা আবারো বলেন যে আমেরিকান সৈন্যরা ইরাকে ফিরে যাবে না।
দু দফা বিমান হামলা চালানোর পর পেন্টাগন বলেছে, এ হামলা অব্যাহত থাকবে। ২০১১ সালের ইরাক থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোন সামরিক অভিযানে অংশ নিল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, ইরাকী কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলের কাছে আইএস-এর ভারি অস্ত্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
মার্কিন বিমান বাহিনীর দুটো এফএ১৮ বোমারু বিমান থেকে ৫০০ পাউন্ড ওজনের লেসার-নিয়ন্ত্রিত বোমা দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়। দ্বিতীয় দফার হামলায় জঙ্গিদের একটি মর্টার কেন্দ্র ধ্বংসের পাশাপাশি তাদের একটি দলকেও হত্যা করা হয়েছে। এরই একঘন্টা পরে লেজার গাইডেড বোমা দিয়ে একটি সাতটি গাড়ির একটি বহরে হামলা করা হয়।
ভুমধ্যসাগরে থাকা একটি বিমানবাহী ক্যারিয়ার থেকে ওই হামলাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে।
কুর্দি পেশমার্গার মিলিশিয়া বাহিনী আইএস-এর হাত থেকে ইরবিল শহর রক্ষার জন্য লড়াই করছে।
২০১১ সালে থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম মার্কিন বাহিনী ইরাকের ভেতর সরাসরি সামরিক অভিযানে অংশ নিলো।
পলায়নপর ইয়াজিদিদের জন্য মানবিক সাহায্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ছাড়াও আইএস জঙ্গীদের ভয়ে পলায়নরত সংখ্যালঘু ইয়াজিদি শরণার্থীদের জন্য বিমান থেকে জরুরি সাহায্য ফেলেছে।
উত্তরা ইরাকে পার্বত্য এলাকায় হাজার হাজার ইয়াযিদি বাড়িঘর ফেলে আশ্রয় নিয়েছে।
ইরবিলে ইউনিসেফের একজন মুখপাত্র জুলিয়েট টোমা বলেন, এর মধ্যেই ৫০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছেছে এবং তাদেরকে ওই পার্বত্য এলাকাতেই কবর দেয়া হয়েছে।
আইএস এখন সিরিয়া এবং ইরাকে বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে আইএস ইরাকের সবচেয়ে বড় খ্রিষ্টান অধ্যুষিত শহর কারাকোষ দখল করে নেয়। তাদের ভয়ে ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াযিদি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।
জুন মাসে যখন আইএস ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করে নেয়, ইরাকের নুরী আল-মালিকির সরকার সামরিক হস্তক্ষেপের আবেদন করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র তখন কান দেয়নি।
বিবিসির প্রতিরক্ষা সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন, এখন কুর্দিদের সাহায্যে মার্কিন এই সামরিক হস্তক্ষেপের হয়ত নানারকম বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা হবে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা