কবি,লেখক ও সাংবাদিকঃআব্দুস সাত্তার এর-

কিছু কথা না বললেই নয়...(০৯)

ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ আব্দুস সাত্তার

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ৮ আগস্ট ২০১৪ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ শনিবার

আজ আমি একজন  প্রচার বিমুখ, নিভৃতচারী আইটি প্রফেশনাল নারীর কথা বলছি। যিনি আইটিতে পড়াশুনা করে নিজেকে আলোকিত করেছেন এবং তাঁর লব্ধ জ্ঞান হাজারো মানুষকে বিলিয়ে দিয়ে আইটি সেক্টরে আলোকবর্তিকার মত অবতীর্ণ হয়েছেন। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে জম্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রী কমপ্লিট করেছেন ঢাকার লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে। অতঃপর ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির উপর ডিপ্লোমা করেন NIIT থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে এসে কম্পিউটার সাইন্সের উপর উচ্চতর পড়াশুনা করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভার্জিনিয়াতে অবস্থিত  "PeopleNtech Institute of Information and Technology" আইটি প্রশিক্ষণ স্কুলের প্রেসিডেন্ট। তাঁর নাম ফারহানা হানিফ। 

মেট্রো ওয়াশিংটিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানে উনার সাথে দেখা হয় কথা হয়। আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে দেখা মাত্রই সালাম দেওয়ার পর বলেন আপনার লেখাটা গতকাল পড়লাম দারুন হয়েছে। তারপর বলেন আমি কবে আপনার বইসব পাব? আমার উত্তর, চলে আসব একদিন আপনার অফিসে।  

কয়েকদিন যাবত ভাবছি আজ যাব কাল যাব কিন্ত যাওয়া হয়ে উঠে না। আজ আমার একজন কাছের মানুষ  "PeopleNtech Institute of Information and Technology" স্কুলের কথা জানতে চাইলেন। আমি কিছুক্ষন বুঝানোর পর সে ক্লাস করতে আগ্রহী হয়ে গেল। আমি দেরি না করে তাকে নিয়ে গেলাম "PeopleNtech"  অফিসে। ওখানে যাওয়ার পর ফারহানা ভাবীকে দেখে সালাম দেওয়ার পরেই বললেন আজ আমার বই অবশ্যই পাবো?  আমি বললাম জি পাবেন। আমি নতুন স্টুডেন্টকে অফিসে দিয়ে লিফট দিয়ে নেমে গাড়িতে যেয়ে বই নিয়ে আসলাম। ততক্ষণ নতুন স্টুডেন্টের ভর্তির ইন্টারভিউ হয়ে গেছে। আমি সামনে সোফায় বসা ছিলাম। অফিস থেকে বের হয়ে তিনি আমার হাতে বই দেখে বললেন সত্যি আপনি বই নিয়ে এসেছেন?  বইটি উনার হাতে দেওয়ার সময় বললেন অটোগ্রাফ দেন প্লিজ। তারপর বইটি হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ কয়েকটি কবিতা দেখলেন। এরপর তিনি বললেন আগামী প্রোগ্রামে আপনার বই থেকে আমি কবিতা আবৃত্তি করব। উনার মুখ থেকে কথাগুলো শুনে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল! আমার মনে হয় সব লেখকদের এমনটাই হয়!

ফারহানা হানিফ এবং তাঁর স্বামী প্রকৌশলী আবু হানিফ "PeopleNtech" আইটি প্রশিক্ষণ স্কুলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় আসা হাজারো মানুষকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। PeopleNtech এ পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে আই টি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার চাকুরী পাইয়ে দিয়ে দেখিয়েছেন স্বপ্ন এবং সাধনা থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়। অসম্ভব প্রায় স্বপ্নকে বুকে লালন করে একের পর এক স্বপ্নহারা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দিতে হয় তা নিপুণ হাতে শিখিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিন হাজার ছাত্র ছাত্রীকে "PeopleNtech"  এ প্রশিক্ষণ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট অফিসগুলোতে কাজ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আগস্ট ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশেও এমন আইটি প্রশিক্ষণ স্কুল চালু করতে যাচ্ছেন, যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশী স্বল্প খরচে আইটি প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে এসে সরাসরি কর্পোরেট কম্পানিগুলোতে আইটি ক্ষেত্রে চাকুরী করতে পারবেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র - ছাত্রীগণ

দেশে বসেও আউট - সোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন।

ঢাকায়  "PeopleNtech" এর যে নতুন শাখা শুরু হবে তাঁর ঠিকানাও জানালেন তিনি। পিপল এন টেক, গাজী টাওয়ার, ৬ তলা, ১৫১/৭ গ্রীন রোড, ঢাকা। 

ঢাকা অফিসের যোগাযোগের জন্য যে কে কেউ ফোন করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ০১১৯০-১০৬৮৯৪ এই নম্বরে। 

"PeopleNtech" এর মূল ক্যাম্পাস ভার্জিনিয়াতে হলেও এর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেই নিউজার্সিতে একটি, নিউ ইয়র্কে দুটি  ক্যাম্পাস। এছাড়াও ইন্ডিয়া এবং কানাডাতেও রয়েছে আরও দুটি ক্যাম্পাস যেখানে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে অথবা ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্র - ছাত্রীগণ ক্লাশ করতে পারেন।  

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিতা এবং দুই কন্যা নিয়ে প্রকৌশলী স্বামী আবু হানিফ এর সাথে বসবাস করছেন ভার্জিনিয়াতে। বড় মেয়ে নাফিসা নওশিন গ্রেড ফাইভ পড়ছে। বড় মেয়ে তাঁর বিজ্ঞান এবং অংকে খুব ভাল করে আসছে। তাঁর বাবার মতই খুব শার্প। ছোট মেয়েটা গ্রেড ওয়ান পড়ছে। ওর নাম প্রিয়েটা হানিফ। সেও খুবই ভাল রেজাল্ট করছে। দুওজনেই খুবই লক্ষ্মী মেয়ে।  ভীষণ ভালোবাসি তাদের দুজনকেই। আর তাদের বাবা তাদের কাছে খুব খুব প্রিয় মানুষ। 

তিনি জানান, আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ১৯৯৫ সালে যখন নিউইয়র্কে আসেন, দুটো জিনিস আমার তাঁকে খুব চিন্তান্বিত করে, ব্যথিত করে। প্রথমতঃ উজ্জল সম্ভাবনাময়, মেধাবী বাংলাদেশী তরুন-তরুণীরা অড জব করছে। তাদের দু`চোখ জোড়া স্বপ্ন। কিন্তু কঠিন শ্রমের ক্লান্তিতে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন। যে স্বপ্ন নিয়ে ওরা প্রিয় জম্মভূমি ছেড়ে আকাশ উড়ে এই `কান্ট্রি অব অপরটিউনিটি’র দেশ আমেরিকায়, তা ক্রমশই বিবর্ণ, ফ্যাকাশে হতে থাকে প্রতিদিন।   

দ্বিতীয়তঃ চারদিকে শত শত বাংলাদেশী আঞ্চলিক, রাজনৈতিক এবং কম্যুনিটির কল্যাণকামী সংগঠনগুলো মুখে বলছে, আমরা মূলধারায় পৌছে দেবো আমাদের কম্যুনিটিকে। কিন্তু, কিভাবে? সে দিক নির্দেশনা নেই। 

তিনি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেন। কম্পিউটার সায়েন্সে মাষ্টার্স ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি কর্পোরেট চাকুরী নেন। সেখানে ভারত, চীনসহ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের লোকজন থাকলেও বাংলাদেশী আইটি প্রফেশনাল কারো দেখা পাননি তিনি অনেক বছর। 

ঠিক সেই সময়ে, ওয়ালষ্ট্রীট জার্নালে একটি এক্সক্লুসিভ লেখা পড়েন এবং আমার সাথে বিষয়টি নিয়ে শেয়ার করেন। বিষয়টি ছিল, কিভাবে এ.পি.র মূখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু হায়দ্রাবাদকে ইন্ডিয়ার আইটি হাব হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। কিভাবে প্রযুক্তি ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্যূনিটিকে আধুনিক করে গড়ে তুলেছিলেন। বলতে পারেন, সেখান থেকেই তিনি তাঁর সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পান। তিনি একটি প্রাগমাটিক প্রোগ্রাম হাতে নেন, কিভাবে অড জব থেকে কতো দ্রুত বাংলাদেশীদেরকে আইটি জব এ প্রতিস্থাপন করে দেয়া যায়। তিনি তাঁর কর্পোরেট চাকুরী ছেড়ে দিয়ে আমেরিকার বাঙালি প্রজন্মকে অড-জব এর ক্লান্তি আর হতাশা থেকে মুক্তি দেয়ার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়লেন। আর তিনি তা করতে পেরেছেন।

কিভাবে PeopleNtech এর সাথে জড়িয়ে পড়লেন জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, "আমার হাজব্যান্ড প্রথমে বাসায় কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে আইটি প্রশিক্ষণের প্রকল্প শুরু করেন। এদের সবাই ভাল জব হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। মজার ব্যাপার হল এদের কারোরই কম্পিউটারের কোন জ্ঞান ছিল না! আমি যেহেতু কম্পিউটারের অনেক প্রোগ্রাম জানতাম, তাই তাদের কম্পিউটারের উপর প্রাথমিক জ্ঞান দেয়ার কাজটা শুরুর দিকে আমি দিতাম। আসলে আমি আমার হাজব্যান্ডকে তাঁর লালিত স্বপ্ন পূরণে (বাঙালিরা আইটি জব করবে) সহযোগিতা করতাম মাত্র। আর এই কাজটি করতে করতেই কবে

PeopleNtech এর সাথে গভিরভাবে জড়িয়ে পড়লাম বুঝতে পারিনি। কতটা বছর কেটে গেল!" 

ফারহানা হানিফ এবং আবু হানিফ আর  PeopleNtech যেন এখন সমার্থক হয়ে গেছে। তাই জানতে চাইলাম আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান যে লক্ষ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, কতটুকু সফল হতে পেরেছেন বলে মনে করছেন?    

সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা, এ পর্যন্ত আমরা ৩,০০০ এর উপরে ছাত্র-ছাত্রীকে কর্পোরেট আমেরিকান আইটিতে চাকুরী দিয়েছি আমাদের ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং প্রতি সপ্তায় ৭-৮ জন, কখনো কখনো আরো বেশী চাকুরী পাচ্ছে। এদের বেশির ভাগই আমাদের বাংলাদেশী। গত মে মাসে ৩৫ জন, জুন মাসে ৩০ জন কর্পোরেট জবে জয়েন করেছেন। এদের বেতন ১ লাখ থেকে দেড় লাখ ডলার! একজন বেকার যুবক যখন ৪-৬ মাস পরেই ১ লাখ এর উপরে বেতনে চাকুরীতে যোগদান করে তখন আমাদের কত ভালোলাগে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি মনে করি আমরা আমাদের লক্ষ আমরা অর্জন করতে পেরেছি। 

ফারহানার হানিফের কথাগুলো গল্পের মত শোনালেও এটিই সত্যি। 

কথা প্রসঙ্গেই তিনি আরও জানালেন, বর্তমানে আমাদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে পিপলএনটেক, পিপলএনটেক সফটওয়্যার সলিউশন প্রাঃ লি. ইন্ডিয়া, পিপলএনটেক কানাডা, পিপলএনটেক ইনস্টিটউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ও পিপলএনটেক আপস্কেল লার্নিং।

তিনি মনে করেন তাদের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি বাংলাদেশেও সম্প্রসারণ করা সম্ভব। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হলে তা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে এতে সন্দেহ নেই। তাঁরা স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীদের আইটি প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় কর্পোরেট জব দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। আর এটি করা সম্ভব হলে আমাদের দেশ অনেক খানি এগিয়ে যাবে। 

আপনারা কাজ শুরু করেছিলেন ভার্জিনিয়ায়। তারপর এখন নিউ ইয়র্কে আর দু`টি শাখা করলেন, ভবিষ্যতে আরো কি সম্প্রসারন করবেন?  এমন প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই করব। কানাডার টরেন্টোতে এবং ইন্ডিয়াতে আমাদের একটি  করে শাখা হয়েছে বছর খানেক আগে। অন-লাইন লাইভ ক্লাশ এর আওতায় সমগ্র আমেরিকার বিভিন্ন ষ্টেট এর বাংলাদেশীরা ট্রেনিং নিচ্ছেন। এ ছাড়া লন্ডন, কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকে ক্লাশ করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আমাদের সফ্টওয়ার টেস্টিং, ডাটাবেজ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের ক্লাশ নিচ্ছেন। এদের বেশীরভাগই ইমিগ্রেশন ভিসা ও ঐ একই ভিসার মাধ্যমে আমেরিকাগমন প্রত্যাশী। শুনলে খুশী হবেন যে বিমান থেকে নেমেই এরা আইটি জবে যোগ দিতে পারবেন; কোন রকম অডজব এদের গ্রাস করার সুযোগই পাবে না।

আমরা স্বপ্ন দেখি আমাদের এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও যাতে প্রশিক্ষনার্থীরা কাজ করতে পারেন তার যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে খুব শীঘ্রই। আসলে আমরা গত বছর থেকেই বাংলাদেশে একটি শাখা খোলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা, সব কিছু মিলিয়ে হয়ে উঠেনি। আশা করি খুব দ্রুত আমরা বাংলাদেশেও শুরু করতে পারব। আমেরিকার আইটি ইন্ডাষ্ট্রিতে কিভাবে আইটি প্রয়োগ হচ্ছে সে টেকনোলোজী আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কর্পোরেট আমেরিকার আইটি বাজারে টিকে থাকতে এবং বাংলাদেশে হাই-টেক ভিলেজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। 

আপনি বাঙালি মেয়ে, অনেক বড় দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু মেয়েদের নিয়ে আপনাদের আলাদা কোন পরিকল্পনা আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি জানান, Fimale in Information Technology (FIIT) নামে আমাদের একটি প্রোগ্রাম আছে। এর মাধ্যমে মহিলাদের আইটি খাত ও এতে সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি  সম্পূর্ণ ফ্রী কোর্স। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশগুলো থেকেও মহিলাগণ এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যে কেউ পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে এই কোর্স গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশী যতগুলো সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রে আছে প্রতিবছর প্রত্যেক সংগঠনকে আমরা ১ জন করে স্কলারশীপ দিয়ে আইটি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের আইটি জব দেয়ার ব্যবস্থাও আমরা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, বাঙালি নারীরা আরও বেশী করে আইটি সেক্টরে আসুক। আমার স্বপ্ন বাংলাদেশী নারীদের নিয়ে কাজ করার।     

একজন সফল মা, স্ত্রী এবং আইটি প্রফেশনাল যিনি একটি বিশাল আইটি স্কুলের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাঁর মধ্য নেই কোন অহংবোধ, নেই নিজেকে জাহির করার মত নূন্যতম মানসিকতা। তিনি শেষে এও জানিয়ে দিলেন, PeopleNtech ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফের স্বপ্ন।  PeopleNtech এর সাফল্য আবু হানিফের সাফল্য। আমি তাঁকে সহযোগিতা করি মাত্র! ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ এবং আমি দুজনে মিলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছি একটি আইটি স্কুল, এটি দেশের, দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। আমি মনে করি আমরা তা করতে পেরেছি। ফারহানা হানিফ এবার তৃপ্তির হাসি দিলেন, সে হাসি দেখে মনে হল সত্যি তিনি আইটি সেক্টরে একটি আলোর মশাল যা শুধুই আলোই ছড়ায়। 

আপনি আজ যা বলেছেন কথাগুলো গল্প নয়! একেবারে সত্যি কথা। আমি আশা করব আমাদের সরকার প্রবাসী এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলোকে মূল্যায়ন করবে এবং করা উচিৎ।

 

ফারহানা হানিফ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার মতো সামান্য একজন লেখকের কাছ থেকে বইসব নিয়ে কিছু না বলা কথায় সময় দেয়ার জন্য এবং দেশের মানুষকে আপনার মানুষের জন্য কাজ, সাফল্য ও স্বপ্নের গল্প জানাবার জন্য।  আপনি দীর্ঘায়ু জীবন লাভ করুন। সুস্থ্য থাকুন সবসময় যেনো আরও মানুষ আপনার এবং

আপনাদের PeopleNtech এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। সেবা পেতে পারে বাংলাদেশ এবং পৃথিবী। 

আব্দুস সাত্তার
ওয়াশিংটন ডিসি
সাংবাদিক ও লেখক