সঞ্জয়ের মেয়ে ইকরা হাসপাতালে

বিনোদন ডেস্ক

মুক্তআলো২৪.কম

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৪ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৭ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৪ বৃহস্পতিবার

অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের মেয়ে ইকরা,স্ত্রী মান্যতা দত্তের পর এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চার বছর বয়সী ইকরা।এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে মিড-ডে ডটকম জানিয়েছে, পাকস্থলী ও অন্ত্রে প্রদাহের কারণে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ইকরাকে। আরও চার থেকে পাঁচ দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
দক্ষিণ মুম্বাইয়ের পেডার রোডে অবস্থিত ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিত্সক এমভি বলেস্করের তত্ত্বাবধানে ইকরার চিকিত্সা চলছে। ইকরার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে সঞ্জয়ের একজন পারিবারিক বন্ধু বলেছেন, ‘ইকরা ভালো আছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে মিড-ডে ডটকম।
গতকাল ২২ জুলাই ছিল মান্যতার জন্মদিন। অন্যদিকে ২৯ জুলাই সঞ্জয়ের ৫৫তম জন্মদিন। ঠিক এই সময়েই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো ইকরাকে।
অস্ত্র মামলায় সাজা পাওয়ায় পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে সঞ্জয়কে। ফুসফুস সংক্রমণ ও যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় চলতি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মান্যতা। অসুস্থ স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করায় মুক্তি পেয়েছিলেন সঞ্জয়। এবার মেয়ের অসুস্থতার কারণে তিনি প্যারোলে মুক্তি পান কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে ১২টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত হন। আর আহত হন ৭০০ জনেরও বেশি। ভয়াবহ ওই সহিংসতার এক মাস পর বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।

পরবর্তী সময়ে  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ২০ বছর আগের মামলায় সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সঞ্জয় এ মামলায়  আগে দেড়  বছর সাজা খেটেছেন। এই হিসাবে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে বন্দী থাকতে হবে।